সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪

গ্রামের মানুষকে ডিম ও মুরগির মাংস খাওয়াতে হবে -নাজমুল আহসান খালেদ

জনাব নাজমুল আহসান খালেদ, চেয়ারম্যান, খালেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজ।

মো. খোরশেদ আলম জুয়েল : মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। কখনো কখনো সেটি স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে যায়। স্বপ্নবাজ মানুষটি তখন অন্যের জন্য অনুসরণীয়, দৃষ্টান্ত হয়ে যান। তবে এ স্বপ্ন মানে ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন নয়, এটি জেগে দেখা স্বপ্ন; যেটিকে বাস্তবে সফল করতে হয়। আপনাদের জানাবো তেমনি এক স্বপ্নবাজ সফল মানুষের কথা যিনি বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

জনাব নাজমুল আহসান খালেদ। একজন আত্মপ্রত্যয়ী, দৃঢ়চেতা, প্রাজ্ঞ, উচ্চ শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। সততা, মেধা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, অধ্যবসায় এবং দূরদৃষ্টির কারণে বাংলাদেশে পোলট্রি শিল্পে সুপরিচিত এক নাম। সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, যদি এমন কোনো বড় ব্যবসায়ীর নাম বলা হয় তাদের মধ্যে তিনি একজন। বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পে তাঁর সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত। তিনি খালেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজ -এর চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্পে অত্যন্ত সুপরিচিত একটি নাম ‘নারিশ’ এর কর্ণধার। খালেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজ -এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- নারিশ পোলট্রি এ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড, নারিশ ফিডস লিমিটেড, নারিশ ফিশারিজ লিমিটেড, নারিশ এগ্রো লিমিটেড, আর্টিজান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মুনলাইট গার্মেন্টস লিমিটেড, এহসান গার্মেন্টস লিমিটেড, মুহাম্মাদি নেভিগেশন লিমিটেড, ইঞ্জিনিয়ারস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, খালেদ শিপিং লাইনস লিমিটেড, টেল নেট কমিউনিকেশন।

নাজমুল আহসান খালেদ ১৯৪০ সনের ১০ এপ্রিল গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার চিনাডলি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আকতার উদ্দিন এবং মাতা মরহুমা মোসাঃ শামসুন নাহার। ১৯৫৬ সনে কাপাসিয়া হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করার পর ভর্তি হন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে। সেখান থেকে ১৯৫৮ সনে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর ভর্তি হন তৎকালীন আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যেটি বর্তমানে বুয়েট নামে পরিচিত। ১৯৬৩ সনে সেখান থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পাস করেন।

এরপর চলে যান দেশের বাইরে। লিবিয়াতে ছিলেন বহু-বছর। কিন্তু মাটির টান অনুভব করতেন সবসময়। সেখানে থেকে চেষ্টা করেছেন নিজের দেশের লোককে সেখানে নিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার এবং সেটি সম্পূর্ণ নিজের খরচে। কারো কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেননি। চিন্তা ছিল একটিই, “মানুষ টাকা বিদেশ পাঠায় আর আমি বিদেশ থেকে টাকা নেবো দেশে”। শুধু তাই নয়, যাদের তিনি বিদেশ নিয়েছেন তাঁদেরও একই শিক্ষা দিয়েছেন।

মাটির টানে বিদেশ থেকে এক সময় দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে শিপিং ব্যবসা করেছেন, করেছেন ইলেকট্রিক ঠিকাদারি ব্যবসাও। এরপর শুরু করেন গার্মেন্টস ব্যবসা। তবে ঠিক কি কারণে যেন গার্মেন্টস ব্যবসায় আত্মিক তৃপ্তি মিটছিলো না! কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষিকে নিয়েই কিছু একটা করবেন ভাবছিলেন। অনুভব করতে থাকেন এ দেশের বেশিরভাগ মানুষই চরম পুষ্টিহীনতায় ভোগেন, তাদের জন্য কিছু করা দরকার। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়, যখন বাংলাদেশে পোলট্রি শিল্পের নীরবে বিকশিত হচ্ছিলো। ঠিক ওই সময়টাতে পোলট্রি ব্যবসা সম্পর্কে আস্তে আস্তে পরিচিত হতে থাকেন। তখন পোলট্রি মুরগির মাংস বা ডিমের কথা শুনলে এদেশের বেশিরভাগ মানুষ নাক সিটকাতেন। ১৯৯১ সনে একবার মাথায় চিন্তা আসে পোলট্রি ফার্ম করার। কিন্তু যুতসই জায়গা পাওয়া যাচ্ছিলনা। কোনো ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় সে চিন্তাটি মাথায় থাকতো সব সময়। অব্যবহৃত জায়গা খুঁজতে থাকেন।

নাজমুল আহসান খালেদের দর্শন হলো- ‘যা করবো ভালো করেই করবো; দেশের মানুষের জন্য উপকার হয় এমন কিছুই করবো’। ১৯৯৪ সনে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রামের বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘর নিয়ে ৫০টি লেয়ার ও ৫০টি ব্রয়লার মুরগি পালন করেন। দেশি মুরগির তুলনায় বড় বড় ডিম, স্বাস্থ্যবান ব্রয়লার মুরগি দেখে তাঁর মন ভরে যায়। কিন্তু সমস্যা হলো বাংলাদেশের মানুষ তখন ফার্মের মুরগি বা ডিম সম্পর্কে সচেতন ছিলনা। তিনি খেয়াল করেন, অনেক মানুষ ফার্মের মুরগি, ফার্মের ডিম নাম শুনে নাক সিটকান। কিন্তু এভাবে চলতে পারেনা, এটি হতে পারেনা। মানুষের পুষ্টির বিষয়ে সচেতন হতে হবে, তাদের প্রোটিন গ্রহণ বাড়াতে হবে; তৈরি করতে হবে ভোক্তা। পিছিয়ে গেলে চলবেনা।

এবার তিনি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন, এখানে পোলট্রিতে বিনিয়োগ করবেনই। আগেই বলেছি, জনাব খালেদের একটি বিষয় সব সময় মাথায় থাকে আর সেটি হলো, যা করবো ভালোভাবেই করবো। এই ‘ভালোভাবে’ করার বিষয়টি মাথায় রেখেই ১৯৯৭ সনে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে শুরু করেন ব্রিডার ফার্ম ও হ্যাচারি যেটি উৎপাদনে আসে ১৯৯৮ সনে। ৪টি শেডের প্রতিটিতে আট হাজার করে মোট ৩২ হাজার প্যারেন্ট মুরগি ছিল। এরপর বাড়তে থাকে পরিধি।

তিনি খেয়াল করতে থাকেন মুরগির ফার্মতো হলো কিন্তু সেগুলোর জন্য খাবার সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তখন হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি কেবল স্বল্প পরিসরে মুরগির ফিড উৎপাদন করতো। বেশিরভাগ খামারি তখন পোলট্রির জন্য লুজ বা হাতে বানানো ফিড ব্যবহার করতেন। মুরগির জন্য ভালো খাদ্যের অভাব তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। কিন্তু এভাবে চলতে পারেনা; সিদ্ধান্ত নেন ফিড মিল করবেন। ২০০০ সনে গাজীপুরে গড়ে তোলেন ছোট আকারে ফিডমিল যার উৎপাদন শুরু হয় ২০০২ সনে। প্রাথমিকভাবে উক্ত কারখানার উৎপাদন ছিল ঘণ্টায় মাত্র ৫ টন, যদিও সেটির উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ঘণ্টায় ১০ টন।

নাজমুল আহসান খালেদ নিজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। স্বভাবতই কারখানা স্থাপনের প্রয়োজনীয় মেশিনারি ও যন্ত্রপাতির বিষয়টি তাঁর নখদর্পণে। তাই এসব স্থাপন খরচ কমানোর বিষয়টি সবসময় ভাবেন। প্রথমে অল্প অল্প করে ফিডমিলের অবকাঠামো গড়ে তোলেন অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে। তবে একটি বিষয়ে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, কোনো অবস্থাতেই ফিড তৈরির জন্য নি¤œমানের কাঁচামাল ব্যবহার করবেন না। যে করেই হোক সর্বোচ্চ মানের ফিড উৎপাদন করতে হবে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো। প্রথম বছরেই নারিশ ফিড বাজারে বাজিমাত! খুব দ্রুততার সাথে খামারিদের মাঝে নারিশ ফিডের সুনাম ছড়িয়ে পরতে থাকলো। পরিবেশকরা রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়লেন নারিশের প্রতি। উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা এতই বেশি যে, যোগান দিতে তখন হিমশিম অবস্থা!

নাজমুল আহসান খালেদ এজন্য অহংকার নয়, নিজের ভেতর এক ধরনের দায়িত্বের তাগিদ অনুভব করলেন। পরবর্তীতে ঘণ্টায় ২০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ফিডমিল স্থাপন করেন ময়মনসিংহের ভালুকায়। মজার ব্যাপার হলো, এরপর আরো বাড়তে থাকে নারিশ ফিডের চাহিদা। এরপর স্থাপন করলেন ঘণ্টায় ২০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি মেশিন। তারপর আরো এবং আরো।

মুরগির খাবারতো হলো। খামারি-পরিবেশক দু পক্ষই নারিশ ফিডের ওপর আস্থাবান। এবার তারা তাগিদ দেন নারিশকে মাছের ফিড তৈরির। জনাব খালেদ সিদ্ধান্ত নেন আগে বুঝবেন তারপর মাছের খাবার উৎপাদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি মাছের খাদ্যের কারিগরি দিকগুলো বুঝার চেষ্টা করেন। তিনি জানতে পারেন মাছ মূলত তিন স্তরের খাবার খায়। একেক প্রজাতির মাছ একেক স্তরের জন্য প্রযোজ্য। প্রথমে শুরু করেন ডুবন্ত খাবার তৈরি। এরপর ২০১১ সনে শুরু করেন মাছের ভাসমান খাবার উৎপাদন। এবারে নারিশ কোম্পানির ফিস ফিডও বাজার মাত করলো।

বর্তমানে নারিশ ফিড শুধুমাত্র পোলট্রি ও মাছের খাদ্য বিক্রি করে মাসে প্রায় ৪৪ হাজার টন। সপ্তাহে ৯ লাখ বাচ্চা ব্রয়লার এবং ৫৫-৬০ হাজার লেয়ার বাচ্চা উৎপাদিত হয় নারিশ হ্যাচারি থেকে। প্যারেণ্ট স্টক বা পিএস উৎপাদন হয় সপ্তাহে ১৬ হাজার। আছে কমার্শিয়াল ব্রয়লার মুরগির ফার্ম। খুব শীঘ্রই প্রবেশ করবেন প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংসের হিমায়িত খাদ্য বাজারে যার ব্র্যান্ড নাম হবে -চিকেন স্ট্রিট।

নারিশ সম্প্রতি ক্যাটল ফিড উৎপাদন শুরু করেছে। ডেইরি ব্যবসায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পরবর্তীতে। খালেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজ -এর বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে সেখানে সরাসরি কর্মসংস্থানের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার; পরোক্ষভাবে জড়িত আছেন প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ।

নাজমুল আহসান খালেদ মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য পোলট্রি শিল্পের আরো বেশি বিকাশ লাভ করা দরকার। কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এখনো পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এদেশের মানুষ এখনো মোট খাবারের ৮০-৯০ শতাংশই দানাদার খাদ্য খায়। কিন্তু পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য এটি অনুপোযুক্ত। আদর্শ পরিমাণের চেয়ে মাথাপিছু প্রোটিন গ্রহণে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। পুষ্টি নিরাপত্তার স্বার্থেই আমাদের প্রোটিন সোর্সকে আরো বেশি সহজলভ্য করতে হবে যাতে এসবের দাম সাধারণ মানুষ এবং প্রান্তিক লোকের হাতের নাগালে থাকে।

তারমতে, আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ অনেক কম। আমাদের গ্রামের মানুষকে প্রোটিন খাওয়াতে হবে। আর অল্প জায়গায় সস্তা দামে প্রোটিন সোর্স হতে পারে কেবল পোলট্রি পালন। এটি আমি ইউরোপ,্ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যেও দেখেছি। আমাদের গ্রামের মানুষকে ডিম-মুরগি খাওয়াতে হবে, শুধু শহরের মানুষের কথা চিন্তা করলে চলবেনা। তবে আমাদের শুধু উৎপাদন করলেই চলবেনা, মানুষকে সচেতন ও বাজার তৈরির কাজটিও করতে হবে।

আমাদের দেশে প্রায়ই মিডিয়াতে খবর হয়, ‘শিল্পায়নের দখলে যাচ্ছে কৃষি জমি’। জনাব খালেদ বিষয়টির ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক। তাঁর দর্শন হলো, কোনো ফসলি জমির এক হাত জায়গা নষ্ট করেও আমরা কারখানা স্থাপন করবো না। তাঁর দাবি, নারিশ কোম্পানির এমন একটি ফ্যাক্টরি, পোলট্রি ফার্ম বা হ্যাচারি কেউ দেখাতে পারবেনা যেটি ফসলি জমি নষ্ট করে করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য থাকে সবসময় অব্যবহৃত পতিত জমি।

ব্যবসায় ঝুঁকির বিষয়টি সম্পর্কে জনাব খালেদ মনে করেন, ব্যবসায় ঝুঁকি থাকবেই। একদম ঝুঁকিবিহীন কোনো ব্যবসা হতে পারেনা। তবে সেই ঝুঁকি সততা ও দৃঢ় পরিকল্পনা দিয়ে জয় করতে হবে। সততার বিষয়টিতে তিনি আপোষহীন।

নারিশের চিন্তাভাবনা একটু ভিন্ন রকম বলে জানান জনাব খালেদ। নারিশে চাকুরি করার প্রথম শর্তই হলো সৎ থাকতে হবে; কোনো অবস্থাতেই অসৎ হওয়া যাবেনা। আমাদের একটা ভিশন আছে, আর ভিশনটা করতে হলে একটি মিশন আছে। আমরা কখনোই চিন্তা করিনা, নারিশ ব্যবসা করবে অনেক বড় কিংবা অনেক বিশাল কিছু করে। আমরা লোক দেখানোর জন্য কোন কিছুই করবোনা, যেটা করবো ভালোমতো করবো, ফলদায়ক করবো। আমার কাজের মাধ্যমে দেশের লোকের উপকার হতে হবে। শুধু আমিই করে যাবো এমনটা নারিশ কখনো ভাবেনা। নারিশ ‘আমিত্বকে’ পরিত্যাগ করে।

তিনি আরো জানান, নারিশ কোনো অবস্থাতেই ওজনে মাপ কম দেয়ার কথা চিন্তা করেনা। এমনকি সেটা ভুল করেও না। সেজন্য আমরা ৫০ কেজি ওজনের ফিডের বস্তার গায়ে লিখে দিই প্লাস মাইনাস ১০০ গ্রাম। কারণ ওজনে কম দেয়া অত্যন্ত গুনাহের কাজ। যেহেতু ফিডের ওজন স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে করা হয় তবুও আমরা প্লাস-মাইনাস বিষয়টি লিখে দিই যাতে, কোনোক্রমে মেশিনের ভুল হলেও আমরা গুনাহের ভাগিদার না হই। কারণ শুধু মানুষ নয়, মেশিনেও ভুল হতে পারে। আর ওজনে কম দেওয়া মারাত্মক গুনাহ।

এছাড়াও আমাদের প্রতিটা মুরগির বাচ্চার কার্টনে একটা গোপন নাম্বার থাকে। আমরা বলে দিই, কোনো কার্টনে যদি বাচ্চা কম পাওয়া যায় তাহলে কার্টনের সেই নাম্বার আমাদের সরাসরি জানাতে। বাচ্চা যতটুকু কম হবে আমরা তার দ্বিগুণ পরিমাণ দিয়ে দিই। আমরা যা কিছু করি আমাদের চিন্তা থাকে প্রান্তিক খামারিদের টিকে থাকার বিষয়টি। কারণ, বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্পের নীরব বিপ্লব তাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত খামারি বিশেষ করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীদের নিয়েও আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে।

জনাব নাজমুল আহসান খালেদের শখ হলো, বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৩ পুত্র ও ১ কন্যার জনক।

This post has already been read 7933 times!