আবু নোমান ফারুক আহমেদ (চীন থেকে) : যেনতেন গাছ নয়, খান্দানি গাছ এটি। ডাকা হয় বেহেশতি বা স্বর্গীয় মূল বা রাইজোমা প্যারাডাইস নামে। ক্যন্সারের ঔষুধ তৌরি হয় এই গাছ থেকে। এছাড়াও স্নেইল বা শামুক মারার পেস্টিসাইড তৈরি হয় এটি দিয়ে। রয়েছে আরো নানাবিধ ব্যবহার। রাইজোম বা কন্দ থেকে মেডিসিন তৈরি হয়। বীজ থেকে গাছ হয়। অক্টোবর মাসে বীজ পরিপক্ক হয়। বেশ কয়েক ধরনের জাত রয়েছে, কোনটির কাণ্ড পার্পল, কোনটি গ্রীন রঙের। গাছের পাতার বিন্যাস চমৎকার। এক সারিতে ছাতার মতো সাজানো ৬-৮ টি পাতা। সাধারণত কাণ্ডে দুই স্তরে পাতা হয়। এরপর ফুল আসে, ফল ও বীজ হয়।
মহামূল্যবান গাছ। এককেজি রাইজোমের দাম ৩০০০ RMB। বাংলাদেশী টাকায় আটত্রিশ হাজার টাকা। কিন্তু ফলন পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। শুধু মাটির নীচের বীজ থেকে গজানো চারা দুনিয়ার আলো দেখতেই সময় নেয় দেড় থেকে তিন বছর। গাছটির টিস্যু কালচার থেকে করা গাছের কন্দে ক্যান্সার প্রতিরোধী যৌগের পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই এটি সফল হয়নি, বীজ ই ভরসা। অংকুরোদগমের পর আরো দু বছর গাছকে নার্সারিতে লালন পালন করা হয়। এই সময় গাছটি কয়েক ইঞ্চি লম্বা হয়। এরপর অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। মাটিতে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ধানের কুঁড়া ও পাইন গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। বীজ থেকে গাছের ফলন পেতে সময় লাগে আট থেকে দশ বছর। কিন্তু তাতে কি স্বর্গীয় মূল বলে কথা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ মিটার উপরে, ২৫-৩০ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রা গাছের জন্য অনুকূল। চীনারা এই গাছের চাষবাস করে বিলিয়ন ডলার আয় করছে। তবে প্রাথমিক খরচ অনেক বেশি। ১০ বছরে মাত্র একবার ফলন, বড়ই বিচিত্র উদ্ভিদ!