নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণিসম্পদ সেক্টরে ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাচার কেয়ার এর উদ্যোগে ‘নুকামেল সেমিনার ঢাকা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ জুলাই) রেডিসান ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ন্যাচার কেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়ন্ত কুমার দেব আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পোলট্রি সেক্টও এখন আর আগের অবস্থানে নেই। আস্তে আস্তে একটা টেকসই অবস্থানের দিকে এগুচ্ছে। খামারিরাও শিক্ষিত হচ্ছেন। সুতরাং পোলট্রি শিল্প আরো বেশি সামনের দিকে এগোনের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পোলট্রি শুধু আভ্যান্তরিন বাজারেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা। সেইদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা বিদেশে পোলট্রি মাংস ও ফিড রপ্তানি করবো।
অনুষ্ঠানে “The art of Pelleting, Processing Conditions & Performance” এবং “Pellet Quality in Relation to Raw Materials & Pelleting Conditions” শীর্ষক দুটি প্রেজেন্টেশেন উপস্থাপন করেন করেন ন্যাদারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি জেটাডেক (Zetadec) এর পরিচালক Dr. Ir. Menno Thomas.
Dr. Thomas উক্ত প্রজেন্টেশনের মাধ্যমে মূলত পিলেটিং এর মৌলিক বিষয়, ফিড তৈরির কলাকৌশল, ফিড তৈরিতে বাষ্পের গুরুত্ব এবং ইনস্টলেশন সতর্কতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি ফিড তৈরির সময় তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার গুরুত্ব এবং সেগুলোকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ফিড তৈরির উপকরণের আকার, তাপ, পানি ইত্যাদি খুঁটিনাটি কারিগরি নানা বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে “Volamel Extra, as part of today’s top nutrition and animal health approach in young animals” শীর্ষক প্রেজেন্টেশেন উপস্থাপন করেন নুকামেল (Nukamel) কোম্পানির প্রতিনিধি Dr. Ir. Evi Croes.
উক্ত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তিনি মুরগির শরীরে চর্বি ও তেলের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, ফ্যাট বা চর্বিও হজম প্রক্রিয়া মূলত ৫টি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলো হলো- বয়স, খাদ্য সংযম, আকার, গঠন এবং উৎসের ওপর।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাচার কেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী ডা. মো. রফিকুল ইসলাম ছাড়াও পোলট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট দেশি বিদেশি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা, বিভিন্ন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আয়োজক কোম্পানির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।