শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

হৃদরোগের মহাশত্রু অর্জুন

arjun copyমৃত্যুঞ্জয় রায় : অর্জুন বা অর্জুনা গাছের ইংরেজী নামও arjun tree. বিভিন্ন বৈদিক গ্রন্থে অর্জুন গাছের ভেষজ ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে। ভারতবর্ষে অন্তত ৩০০০ বছর পূর্ব থেকে ভেষজ গাছ হিসেবে অর্জুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিস্ময়কর ভেষজগুণের কারণে অর্জুন গাছকে বলা হয় ‘Guardian of the heart’. মহাভারতে অর্জুন ছিলেন পাণ্ডবদের রক্ষাকারী বীর যোদ্ধা। তেমনি এ গাছও মানুষের হার্ট বা হৃৎপিণ্ড তথা জীবন রক্ষাকারী মহাষৌধ হিসেবে বিবেচিত। এজন্যই মহাভারতের চরিত্র অর্জুনের নামের সাথে মিল রেখে এ গাছের নাম রাখা হয়েছে অর্জুন। অর্জুন নামের আর একটি তাৎপর্য রয়েছে। এ শব্দটিকে বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায় অর্জ+উনন্। এই অর্জ অর্থ বল; অর্জুন হৃৎপিণ্ডের বলদান করে বলে তার নাম অর্জুন। বৈদিক শব্দাভিধানে অর্জুনের এরূপ অর্থ করা হয়েছে।

সুপ্রাচীনকাল থেকে অর্জুনের বহুমূখী ভেষজ গুণের কারণে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অর্জুন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের টনিক তৈরিতে অর্জুন এক মূল্যবান বৃক্ষ। হৃৎপি- ও রক্তবাহী নালসিমূহকে ভালো রাখতে অর্জুনের কোনো জুড়ি নেই। যাদের বুক ধড়ফড় করে অথচ উচ্চ রক্তচাপ নেই তারা অর্জুনের কাঁচা ছাল ১০-১২ গ্রাম, শুষ্ক ছাল হলে ৫-৬ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে পিষে বা থেঁতো করে ১০০ মিলিলিটার দুধ ও ৫০০ মিলিলিটার পানি একসাথে জ্বাল দিয়ে ১০০ গ্রাম থাকতে নামিয়ে ছেঁকে রোজ বিকেলে খেলে এই অসুবিধাটা চলে যায়। ইনসুলিন হরমোনের ওপরও অর্জুনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো বহু রোগের মহাষৌধ হিসেবে অর্জুনের ব্যবহার রয়েছে।

This post has already been read 5135 times!

Check Also

বারি ও সুপ্রিম সীড কোম্পানি লি: এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে এক …