নিজস্ব সংবাদদাতা : কৃষি উন্নয়ন ও গবেষণায় প্রতি বছর বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১০টি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি স্বর্ণ, নয়টি রৌপ্য ও ১৮টি ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৬৪টি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ১৪২১ ও ১৪২২ সনের কৃষি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে ৫৫ ব্যক্তি ও ৯টি সংগঠনকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকে ভূষিত করেছেন। কৃষি গবেষণা এবং সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি আবিষ্কার, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, পশু পালন, পোলট্রি ও মৎস্য খামারে বিশেষ অবদানের জন্য এ পদক দেওয়া হয়। রবিবার(১৬ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজয়ীদের মধ্যে এসব পদক দেওয়া হয়।
স্বর্ণ পদক বিজয়ী প্রত্যেকে ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণ পদক ও এক লাখ টাকা, রৌপ্য পদক বিজয়ী প্রত্যেকে ২৫ গ্রাম ওজনের একটি রৌপ্য পদক ও ৫০ হাজার টাকা এবং ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী প্রত্যেকে একটি ব্রোঞ্জ পদক ও ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।
১৪২১ সনের জন্য পদক পেয়েছেন স্বর্ণ পদক বিজয়ী ১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি, ঢাকা, ২. কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ৩. পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মো. আব্দুল খালেক, ৪. নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্যপূর্ণ এগ্রো সার্ভিস এবং ৫. পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মোছা. বেলী বেগম। রৌপ্য পদক বিজয়ীরা হলেন- ১. রাজবাড়ী সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন, ২. নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গাউসুল আজম বাবা ভান্ডারী বহুমুখী খামার লিমিটেড, ৩. কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মো. লাল মিয়া, ৪. ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মো. আজিম উদ্দিন, ৫. টাঙ্গাইল সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি, ৬. রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বেগম আদুরী মার্দি, ৭. পাবনার ঈশ্বরদীর মো. আব্দুল বারী, ৮. কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মো. আবুল কাশেম এবং ৯. খাগড়াছড়ি সদরের সুজন চাকমা।
ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ীরা হলেন- ১. রাজশাহীর তানোর উপজেলার নূর মোহাম্মদ, ২. সিলেট মহানগরীর আবদুল হাই আজাদ বাবলা, ৩. খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সুরেশ্বর মল্লিক, ৪. যশোর সদরের মো. আব্দুল ওয়াহিদ সরদার ৫. কুমিল্লার দাউদকান্দির এম এ মতিন ৬. মেহেরপুর সদরের মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস, ৭. নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম সরকার, ৮. ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম, ৯. পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মো. আবু বকর সিদ্দিক, ১০. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের গোলাম মোস্তফা, ১১. পাবনার ঈশ্বরদীর মাহফুজা খানম শীমা, ১২. খুলনার বটিয়াঘাটার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আবদুল মান্নান, ১৩. গাইবান্ধার সাঘাটার মো. আমির হোসেন, ১৪. নওগাঁ সদরের মো. সালাহ উদ্দিন উজ্জল, ১৫. জয়পুরহাট সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম সাজু, ১৬. জামালপুর সদরের মো. ইজাদুর রহমান, ১৭. খুলনার ডুমুরিয়ার অশোক বৈরাগী এবং ১৮. কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মো. শাহীনুর রহমান।