নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘কিছু কিছু মানুষের একটু ভেজাল দেবার প্রবণতা রয়েছে। এই ভেজাল দিয়ে বেশি মুনাফা করতে গিয়ে একেবারে নিজের ব্যবসারও সর্বনাশ। দেশেরও সর্বনাশ। এই সর্বনাশের পথে যেন কেউ না যায়। বিশেষ করে আমাদের মৎস্য ব্যবসায়ীরা।’ বুধবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে জাতীয় মৎস সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, যাতে কোন রকম অভিযোগ যেন আমাদের বিরুদ্ধে না আসে, মৎস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সবসময় আমাদের এ বিষয়য়ে সতর্ক থাকতে হবে। । মাছ চাষ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামান্য একটু মুনাফার লোভে নিজের ব্যবসাটাও যেমন নষ্ট করবেন না, তেমনি দেশের রপ্তানি বা পণ্যটাও আপনারা নষ্ট করবেন না।’
তিনি বলেন, জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ। দেশের ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্য সম্পদের সাথে সম্পর্কিত। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ যোগান দেয় মৎস্য খাত। জাতির পিতার সেই আশাবাদ এখন বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ যোগান দেয় মাছ। তাছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মস্য খাতের বিশেষ অবদান উল্লেখযোগ্য। আমাদের কৃষিজ আয়ের ২৪ দশমিক ৪১ ভাগ আসে মৎস খাত থেকে এবং জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ৩ দশমিক ৬১ ভাগ। দেশের ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্য সম্পদের সাথে সম্পর্কিত।
অনুষ্ঠানে ১৩ জন মৎস্য চাষি এবং প্রতিষ্ঠানকে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেব স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক প্রদান করেন তিনি। এদের মধ্যে ৪ জন স্বর্ণ এবং ৯জন রৌপ্য পদক লাভ করেন। পদক ও সনদপত্রসহ নগদ ৫০ হাজার এবং ৩০ হাজার টাকার চেকও বিজয়ীদের প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী সায়েদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহমুদুল হাসান খান বক্তৃতা করেন।