বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

রাণীনগরে পেঁপে চাষে বিপর্যয়

Raninagar pepe Pic copy
বৈরি আবহাওয়ায় নওগাঁ জেলার রাণী নগরের পেঁপে বাগানে দেখা দিয়েছে মড়ক।

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:
নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে গত সপ্তাহ জুরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে লাগাতার বৃষ্টিপাতে পেঁপে চাষের জমিতে পানি জমার কারণে পেঁপে ধরতে শুরু করেছে এমন বয়সের সবুজ গাছগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে মরে যেতে বসেছে। ফলে ওই গাছগুলোতে আশানুরূপ পেঁপে ফলন না পাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। অধিক লাভের আশায় কিছু চাষিরা ধান শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি অল্প পরিমাণ জমিতে পেঁপে চাষ করলেও বৈরি আবহাওয়াজনতি কারণে পেঁপে গাছ মরে যাওয়ায় রাণীনগরে পেঁপে চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের জমি দো-আঁশ ও কিছুটা উঁচু হওয়ায় বন্যার পানি হানা না দিতে পারাই এই দুটি ইউনিয়নে অন্যান্য শাকসবজি চাষের পাশাপাশি অল্প পরিমাণ জমিতে পেঁপে চাষ শুরু হয়েছে। গত দুই বছর ধরে এর পরিমাণ দিনদিন বৃদ্ধি পেলেও চলতি মৌসুমে অধিক পরিমাণ বৃষ্টিপাতে পেঁপে জমিতে পানি জমার কারণে মাটি অত্যাধিক নরম থাকায় পেঁপে গাছগুলো মোড়ক ধরে মরে যাওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয়সহ চাষিরা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আগামীতে পেঁপে চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছে। আপতকালীন সময়ে কৃষি অফিসের কর্তাব্যক্তিদের সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতার অভাবে উপজেলার পেঁপে চাষিরা সঠিকভাবে এগোতে পারছে না। ক্ষতির আশংকার মধ্যেও পেঁপে চাষিদের দাবি কৃষি অফিস থেকে উপযুক্ত সময়ে মানসম্পূর্ণ চারা ও অন্যান্য কারিগরী প্রশিক্ষণ দিলে তারা উপকৃত হবেন। বর্তমানে পেঁপের বাজার মূল্য ভালো থাকলেও জমিতেই গাছ নষ্ট হওয়ায় চাষিদের খরচের টাকা উঠবে কি না এ নিয়েও তারা চিন্তায় আছেন।

উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের পেঁপে চাষি মো. রকিব উদ্দিন প্রামানিক জানান, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে নানান জাতের শাকসবজির আবাদ করি। অল্প খরচে লাভ ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমি প্রতিবেশি কৃষকের দেখাদেখি আমি দেড় বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকায় পেঁপে ধরা শুরু করে। ফলগুলো বিক্রয়ের পর্যায়ে আসার শুরুতেই শ্রাবণের অঝড়া বৃষ্টিপাতে আমার জমির প্রায় সব গাছই নষ্ট হতে চলেছে। কৃষি অফিসের লোকজন আমার মত প্রান্তিক চাষির খোজ-খবর না নিলেও কীটনাশক কোম্পানির লোকজনের পরামর্শে পেঁপে গাছগুলো সেরে তুলতে যে পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগ করেছি তাতে কোন কাজ না হওয়ায় গাছগুলো দিনদিন মরে যাচ্ছে। ফলে আমার আর্থিক ক্ষতি হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, এই উপজেলায় পেঁপে চাষ খুব বেশি হয়না। তবে কিছু চাষি আগ্রহী হয়ে পেঁপে চাষ করছে। গত সপ্তাহের বৃষ্টিপাতের কারণে পানি জুমে থাকলেও চাষিরা পেঁপে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন ও যথা সময়ে উপযুক্ত পরির্চচা না করাই পেঁপে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। বেশি সময় ধরে মাটি নরম থাকলে গাছগুলো বাঁচার সুযোগ খুব কম।

This post has already been read 6234 times!

Check Also

বারি ও সুপ্রিম সীড কোম্পানি লি: এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে এক …