সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের কয়েকটি জেলায় আমনের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। যেসব জমির আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেসব জমিতে পুনরায় চারা রোপণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপযুক্ত স্থানে বীজতলা প্রস্তুতপূর্বক পর্যাপ্ত আমন ধানের চারা মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া আপদকালীন আরও বীজতলা তৈরির কাজ চলছে। এ প্রথম সরকারিভাবে ৭২০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে এবং এ প্রযুক্তি অনুসরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষকেরা আরও ১ হাজারটি ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছেন। যেসব প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের আমনের চারা প্রয়োজন হবে তাদের মাঝে বিতরণের জন্য পর্যাপ্ত চারা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, আলোক সংবেদনশীল নাবী জাতের আমন ধানের চারা সেপ্টেম্বরের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করা যায়।