ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা):
‘টেকসই পর্যটন-উন্নয়নের হাতিয়ার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনায় বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৭ উদযাপিত হয়েছে। ট্যুর অপারেটরস এ্যাসোসিয়েশন এবং বিভিন্ন এনজিও এর সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
র্যালি শেষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশের খুলনাঞ্চল পর্যটনের জন্য এক অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল। এখানে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পাশাপাশি ষাটগম্বুজ মসজিদ, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত দক্ষিণদিহি, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের বাড়ি, বিশিষ্ট কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের বাড়ি, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পৈতৃক নিবাসসহ আরো অনেক সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে যা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত অকর্ষণীয় ভ্রমণক্ষেত্র হতে পারে। এই সম্ভাবনাময় স্থানগুলোকে বিশ্ব পর্যটকদের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে সভাপতি আরো বলেন, আমরা খুলনা তথা সমগ্র বাংলাদেশের অকর্ষণীয় স্থানগুলোকে যদি বিশ্ব পর্যটকদের কাছে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারি তবে তা আমাদের জিডিপি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক ম. জাভেদ ইকবাল, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশির-আল-মামুন, খুলনা প্রত্বতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা এবং খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ট্যুর অপারেটরস এ্যাসোসিয়েশন খুলনার ভাইস প্রেসিডেন্ট এম নাজমুল আজম ডেভিড।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরুকরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।