মো. আরিফুল ইসলাম, বাকৃবি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বুধবার রাত ১২ টার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুইটি দোকানের সব কিছু পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ের দুইটি দোকানে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই দোকান মালিকরা। একই সাথে সেখানকার অনেক দোকানিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিরও অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে জব্বারের মোড়ের তুর্য্য মেডিকাল কর্ণারে ধোয়া উড়তে দেখা যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে পাশের বইয়ের লাইব্রেরী সোহেল এন্টারপ্রাইজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকান্ডে ওই দুটি দোকানের শতভাগ পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। এ সময় বিদ্যুতের লাইনে সরবরাহ বন্ধ করতে বার বার ফোন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অনেক দোকানীরা অভিযোগ করেন। প্রথমেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে লাঘব করা যেতো বলে অনেকে দাবি করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিক লাইনের শর্ট সার্কিট থেকে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সোহেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সোহেল বলেন, অগ্নিকান্ডে দোকানের প্রায় ১০ লাখ টাকার বই এবং প্রায় দুই লাখ টাকার মোবাইল সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে তুর্য্য মেডিকেল ফার্মেসীর মালিক মো. মোতালেব বলেন, তার দোকানের প্রায় ৫ লাখ টাকার ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে।