মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
ডিম ও মুরগীর মাংস বাংলাদেশে আমিষের চাহিদা বহুলাংশে পূরণ করছে। দেশে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কিত প্রচারণার কোন ভিত্তি নেই। ডিম সবচেয়ে সাশ্রয়ি মূল্যের প্রাণিজ আমিষ। ডিম একটি আদর্শ ও পুষ্টিকর খাবার। শরীর ঠিক রাখার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা অপরিহার্য। তাই সুস্থ, স্বাস্থ্যবান ও সমৃদ্ধ মেধাবী জাতি গঠনে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি অপরিহার্য। সুস্থ্য ও মেধাবী জাতি গড়ার স্বার্থে দিনে দু’টি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ এবং ওয়াল্ড পোল্ট্রি সাইন্স এসোসিয়েশন কর্তৃক বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব বলেন অনুষদের গবেষকরা। বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ডিম খাওয়ানো, বর্ণাঢ্য র্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০ টায় পশুপালন অনুষদ থেকে শুরু হয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যাালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্বদ্যিালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।পরে সেখানে পুষ্টি নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় ডিম দিবসের গুরুত্ব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান প্রফেসর ড. মোছাব্বির আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে এবং একই বিভাগের সহকারী প্রফেসর বাপন দে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশুপালন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. আশরাফ আলী এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশুপালন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. আশরাফ আলী এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সাবেক প্রফেসর ড. এস.এম.বুলবুল, প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী, প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস হোসেন এবং পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘এগ’স ফর হেলদি লাইফ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী প্রফেসর ড. মো. শহিদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ডিম একটি আদর্শ ও পুষ্টিকর খাবার। শরীর ঠিক রাখার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা অপরিহার্য। তাই সুস্থ, স্বাস্থ্যবান ও সমৃদ্ধ মেধাবী জাতি গঠনে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি অপরিহার্য।