মঙ্গলবার , জানুয়ারি ২১ ২০২৫

ভালো মানের মুরগির বাচ্চা চিনবেন যেভাবে

কৃষিবিদ মো. মহির উদ্দিন: বাংলাদেশ মুরগি পালন এখন পারিবারিক গন্ডি পেরিয়ে শিল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশের কর্মক্ষম মানুষের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বেকার। এই বেকার জনগোষ্ঠির একটি অংশ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মুরগি পালনের দিকে ঝুকছে। এদের পাশাপাশি দেশের অনেক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সাথে জড়িত এবং পেশা হিসেব মুরগি পালনের ক্ষেত্রে দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। খামার স্থাপন বা মুরগি পালনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন। বড় আকারের বাণিজ্যিক খামার বা ক্ষুদ্র পর্যায়ের পারিবারিক খামার তা যেমনই হউক, খামার লাভজনক করতে ভালো মানের খাদ্য ও ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ভালো মানের বাচ্চার বিকল্প নেই

ভালো মানের মুরগির বাচ্চার প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ
ভালো মানের বাচ্চা বা কোয়ালিটি চিকস কোয়ালিটি বলতে উন্নত উৎপাদন সহায়ক বৈশিষ্টাবলী সম্পন্ন বাচ্চাকে বুঝায়। যেমন-

১. উচ্চ জেনেটিক পটেনশিয়ালিটি সম্পন্ন বাচ্চা, হাতে নিলে পরিচ্ছন্ন ও শুকনো মনে হবে।
২. নরম পালকে আচ্ছাদিত শরীর এবং যে কোন প্রকার ক্ষত ও দুষণমুক্ত, সচকিত চাহনী, পরিচ্ছন্ন ও উজ্জল চোখ, শারিরীক ত্রুটিমুক্ত।
৩. নাভী পরিস্কার শুকনা। কোন প্রকার মেমব্রেন ও কুসুম শরীরে লেগে থাকবে না।
৪.  শরীর স্পর্শ করলে দৃঢ় অনুভূত হবে। কিন্তু হাতে ধরলে হাড়ের অস্তিত্ব বুঝা ঝাবেনা, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত ত্রুটিমুক্ত, পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি কৌতুহলী ও প্রতিক্রিয়াশীল হবে।
৫. ওজন হবে ডিমের প্রাথমিক ওজনের ৬৭-৭০%, যে বাচ্চার দেহের দৈর্ঘ্য বেশি তার উৎপাদন ক্ষমতা ভালো।

খামার স্থাপন বা মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মুরগির বাচ্চা প্রধান উপাদান, তাই বাচ্চা ক্রয়ের সময় উল্লেখিত ভিজুয়েল স্কোরিং -এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো দেখতে হবে। তাছাড়া বাচ্চা ক্রয়ের সময় ঐসব বিষয়ের পাশাপাশি জেনে নিতে হবে একই বয়সের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো কিনা? খুব কম বয়সী (পুলেট) এবং বেশী বয়সের মুরগীর ডিমের বাচ্চা কিনা ইত্যাদি ।

This post has already been read 11588 times!

Check Also

ডিম, মুরগি ও ফিড উৎপাদনে ধ্বসরে আশংকা

বিশেষ সংবাদদাতা : পোল্ট্রি শিল্পের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়ে থাকে একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারি ব্রিডার্স …