কৃষিবিদ মো. মহির উদ্দিন : মুরগি খামারের মোট উৎপাদনখরচের শতকরা ৭০-৭৫ ভাগ হচ্ছে খাদ্য খরচ। খাদ্য খরচ নিম্নতম পর্যায়ে রেখে, কাক্সিক্ষত মাত্রায় উৎপাদন পেতে হলে খাদ্যের গুনগত মানের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। খাদ্যের গুনগতমান ভালো না হলে অপচয় বেশি হয় এবং এর ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়।
ভালো মানের ফিড বা খাদ্যের কোয়ালিটি বলতে প্রধানত খাদ্য তৈরির উপাদানসমূহের কোয়ালিটি বা গুণগত মানকে বুঝায়। খাদ্য উপাদানসমূহের গুণাগুণ মান ভালো হলে খাদ্যের কোয়ালিটিও ভালো হবে। সাধারণতঃ ল্যাব এনালাইসিসের মাধ্যম ফিডের কোয়ালিটিও টেস্ট করা হয়। কিন্তু গ্রাম গঞ্জের হাজার হাজার ক্ষুদ্র খামারির পক্ষে ল্যাব এনালাইসিস ব্যয়বহুল ও সহজলভ্য না হওয়ায় তা করা সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে খামারিরা তাৎক্ষণিক নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে নি¤েœাক্ত পন্থায় ভালো মানের চিনতে পারেন।
স্পর্শের মাধ্যমে
খাদ্য উপাদানসমূহের গুণগতমান হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করলে অনেকটাই বুঝা যায়। দানাদার খাদ্য উপাদান যেমন- ভুট্টা, গম ইত্যাদির ক্ষেত্রে স্তূপ করে রাখা অবস্থায় হাত ঢুকালে যদি পর্যাপ্ত শুকনা থাকে তাহলে ভেতরে বাইরের তাপমাত্রায় কোন পার্থক্য বুঝা যাবে না। কিন্তু যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে বা ভেজা ভেজা থাকে তাহলে হাত স্পর্শ করলে বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে ভেতরের তাপমাত্রা শীতকালে ঠান্ডা এবং গরমকালে গরম অনুভূত হবে। রাইস পলিশ হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করলে যদি খসখসে মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে এতে খোসা মিশ্রিত আছে। অন্যদিকে ফিসমিল? প্রোটিন কনসেন্ট্রেট যদি আর্দ্রতা বেশি থাকে বা বেশিদিনের পুরাতন হয় তাহলে গরম কালো দলা দলা হবে।
স্বাদ গ্রহণ
খাদ্য ও খাদ্য উপাদানসমূহের গুণগতমান অল্প পরিমাণে জিহ্বায় নিয়ে স্বাদ গ্রহণ করলে বুঝা যায়। ফ্রেশ খাদ্যের সুন্দর স্বাদ ও গন্ধ এবং পুরাতন খাদ্যের অনাকাক্সিক্ষত স্বাদ ও গন্ধ হবে।
চোখে দেখে
একজন অভিজ্ঞ খামারি চোখে দেখে খাদ্যের গুনগত মান নির্ণয় করতে পারেন। খাদ্য ও খাদ্য উপাদানের রং অবস্থা, খাদ্যে বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত বস্তুর উপস্থিতি ইত্যাদি খোলা চোখে দেখে খাদ্যে কোয়ালিটি/ গুণগত মান সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।