বশিরুল ইসলাম (শেকৃবি) : টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিবেচনায় ভাতের সম্পূরক হিসেবে সাদা ভুট্টাজাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, এ দেশের মানুষ খাবার হিসেবে চাউল আর গমের পাশাপাশাশি সাদা ভুট্টার ব্যবহার ব্যাপকহারে চালু হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদার হবে। ভাতের ওপর চাপ কমবে। গম আমদানির পরিমাণ হ্রাস পাবে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) কৃষি গবেষনা ফাউন্ডেশনে অর্থায়নে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এগ্রেরিয়ান রিসার্চ ফ্উান্ডেশন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে’ বাংলাদেশে মানুষের খাদ্য হিসেবে সাদা ভুট্টা প্রবর্তন ’শীর্ষক কর্মশালায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়। কর্মশালায় সাদা ভুট্টা থেকে পরোটা, নান রুটি, পেঁয়াজি, সবজি পাকোড়া, চিকেন রুল, শর্মা, মিষ্টি তেল পিঠা, কেক, পাস্তা, জিলাপী, কর্ণ স্যুপসহ হরেক রকম খাবার প্রদর্শন করা হয় এবং কিছু কিছু খাবার তৈরি করার পদ্ধতি দেখানো হয়।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা সকাল সাড়ে দশটায় উদ্বোধন করেন শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবির।
কর্মশালায় জানানো হয় যে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে ত্রিশ দশকের পর খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে বিধায় বাংলাদেশে সাদা ভুট্টার ব্যবহার প্রচলন করা প্রয়োজন। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার উৎপাদনশীলতা বেশি হওয়ায় সাদা ভুট্টা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলেও কর্মশালায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মো. জাফর উল্লাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বহিরাঙ্গনের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. ফজলুল করিম।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীগণ, কৃষিজাত পন্য প্রক্রিয়া করণ ও খাদ্য দ্রব্য তৈরী সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অংশ হতে আসা ৬০ জন শিক্ষিত গৃহিনীও কর্মশালায় অংশ নেন।