পোল্ট্রি শিল্পের অগ্রগতিতে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক। তবে বেসরকারি উদ্যোগে পোল্ট্রি শিল্পে যে দ্রুততার সাথে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং হচ্ছে, সে বিবেচনায় সহযোগিতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) -এ অনুষ্ঠিত পোল্ট্রি বিষয়ক মিডিয়া কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অংশগ্রহণকারি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. আইনুল বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পোল্ট্রিখাতের প্রয়োজনীয় নীতি সহযোগিতা বাড়ানো এবং এ খাতের উন্নয়নের জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন- পোল্ট্রি ডিম ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যালু-অ্যাডেড প্রোডাক্টের দিকেও নজর দিচ্ছে সরকার। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ থেকে পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানীকে সহজতর করতে আট বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বিপিআইসিসি’র সভাপতি জনাব মসিউর রহমান বলেন- নিরাপদ ও এন্টিবায়োটিক মুক্ত পোল্ট্রি’র ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানীর জন্যও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন বলেন- আমরা নিজেরা পোল্ট্রি’র ডিম, মাংস খাই। আমাদের সন্তানেরা খায়। তাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্য-সম্মত পোল্ট্রি উৎপাদনে আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু বড় খামারি নয়, ক্ষুদ্র খামারিদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাহলেই আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারব।
‘টেলিভিশন ও রেডিও’ এবং ‘সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও অন-লাইন পত্রিকা’র জন্য একই দিনে পৃথক দু’টি কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)। বাস্তবায়নে ছিল বেসরকারি সংস্থা ওয়াচডগ বাংলাদেশ।
‘টেলিভিশন ও রেডিও’তে কর্মরত সংবাদ-প্রতিবেদকদের জন্য আয়োজিত মিডিয়া কর্মশালায় রিসোর্স পারসনস হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী; একুশে টেলিভিশনের এডিটর-ইন-চীফ জনাব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবং একাত্তর টেলিভিশনের ডিরেক্টর নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জনাব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
অন্যদিকে সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও অন-লাইন পত্রিকার জন্য আয়োজিত কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক জনাব সোহরাব হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।
‘পোল্ট্রি শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং আগামীদিনের পোল্ট্রি শিল্প’ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য গঠিত বিপিআইসিসি’র রিসোর্স প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন- বিপিআইসিসি’র সভাপতি জনাব মসিউর রহমান, ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) -এর সভাপতি জনাব শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন এবং ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) এর সাবেক সভাপতি জনাব এহতেশাম বি. শাহজাহান। সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিআব এর সাধারন সম্পাদক জনাব মো. আহসানুজ্জামান এবং ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) এর মহাসচিব জনাব সাইদুর রহমান বাবু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিপিআইসিসি’র সচিব জনাব দেবাশিস নাগ, উপদেষ্টা জনাব শ্যামল কান্তি ঘোষ এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মো. সাজ্জাদ হোসেন।