মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
বাংলাদেশের প্রাণীজ কৃষি উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেশের মানুষের প্রাণিজ প্রোটিনের বিশাল চাহিদা রয়েছে, যার একটি বড় অংশ মেটানো হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে। বিশেষ করে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পে বাংলাদেশ আজ ক্রমবিকাশমান। এ ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি গবেষকদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো টেকসই ও পরিবেশবান্ধব হতে হবে এবং কৃষকদের কাছে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত হেকেপ প্রকল্পের অর্থায়নে ‘রোমন্থক (গরু ও ভেড়া) প্রাাণির অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে প্রজনন সহায়ক প্রযুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগে স্নাতকোত্তর গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের সমাপনি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি. এসব কথা বলেন।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডীন কাউন্সিলের কনভেনর প্রফেসর মো. আবদুল কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মনোরঞ্জন দাস, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আইনুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিএ মহা-সচিব ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা ও বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারের সভাপতি ডা. মাহবুবুল আলম ফারুক।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সাব প্রজক্ট ম্যানেজার প্রফেসর ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মির্জা আবুল হাসিম। উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিম আহমাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি. আরও বলেন, বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন দ্বিগুন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উক্ত প্রকল্প সরকারের লক্ষ্য পূরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
কর্মশালায় প্রকল্পের আওতায় উচ্চমান সম্পন্ন ষাড় থেকে সিমেন প্রক্রিয়াকরণ এবং গাভী ও ভেড়ীর ভ্রুণ উৎপাদন, হিমায়িতকরণ ও সাধারণ জাতের গাভী ও ভেড়ীতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদনে সফলতার কথা তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় ভেটেরিনারী অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, খামারী ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।