আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘুম মানুষের একটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ। এটি অনিয়মিত হলে বা একেবারেই না হলে স্বাস্থ্যের জন্য নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণটা স্ট্রেস হোক কী অন্য কিছু ঠিক মতো ঘুম না আসলে ডায়েটে মাছের অন্তর্ভুক্তি করতেই হবে। কারণ, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে মাত্র একদিন মাছ খেলেই অনিদ্রার মতো সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন অন্তত স্বাভাবিকভাবে ৬ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। কিন্তু এর কম বা বেশি হলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য কখনই সুখকর হবে না।
পেনসিলভিনিয়া ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়া এতটা বেড়ে যায় যে “আই কিউ” লেভেলও বাড়তে শুরু করে। একাধিক মারণ রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় মাছ। যেমন-
১. ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দূর করে: হাড়ের গঠনে এই ভিটামিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার শরীরে যাতে কানওভাবই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি না হয়, এই জন্য আপনাকে খেতে হবে সামদ্রিক মাছে।
২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে মাত্র ১-২ দিন মাছ খেলেই আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা নিউরনদের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির বিকাশের সাথে স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।
৩. হার্টকে চাঙ্গা রাখে: যারা নিয়মিত মাছ খেয়ে থাকেন, তাদের হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায় বলে দাবি করছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। আসলে মাছের শরীরে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত ফ্য়াটের মাত্রাকে কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৪. ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: মাছের শরীরে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের দেহের ভেতরে যাওয়া মাত্র ত্বক এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টির যোগান বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্কিন টোনের যেমন উন্নতি ঘটতে শুরু করে, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ওমাগ থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন রোগ ভুগছেন, তারা প্রতিদিনের ডায়েট মাছ রাখুন।
৫. স্পার্ম কাউন্ট অনেক বাড়িয়ে দেয়: সম্প্রতি ১৮৮ জন পুরুষের উপর চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মাছে খান, তাদের স্পার্ম কাউন্ট এতটাই ভাল হয়ে যায় যে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাই হয় না।
৬. মানসিক অবসাদ কমায়: বর্তমান সময়ে নানা কারণে মানসিক অবসাদে আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমাগত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাছ খাওয়া প্রয়োজন আরও বেড়েছে। কারণ স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমাতে মাছের কোনও বিকল্প নেই।
মাছ একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। আসলে মাছের শরীরের থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন, মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি কণাকে চাঙ্গা করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই