ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): পূর্ব সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু সুমন বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছে । বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের সুখপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দস্যুরা হলো, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভোজপাতিয়া গ্রামের মৃত আ. রহমান শেখের ছেলে মো. জুলফিকার শেখ (৩৫), মো. জাকারিয়া সরদার (৩০), ও মো. খোকন মিনা (৪৩)। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপর দুই দস্যুর বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
র্যাব-৮ এর অপারেশন অফিসার মেজর সোহল রানা প্রিন্স জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনদস্যু “সুমন বাহিনীর” অবস্থান জানতে পেরে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পৌনে ৯টার দিকে র্যাব-৮ এর একটি দল সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়া চর এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময় বনের এলাকায় একটি আস্তানা দেখত পেয়ে র্যাব সদস্যরা সামনের দিকে অগ্রসর হলে দস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে বনে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ওই তিন দস্যুর মৃতদেহ, ২টি একনালা বদুক, ১টি কাটা রাইফেল , ১টি পাইপগান, ৩৯ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, ৩টি গুলি রাখার বান্ডুলিয়ার, ২টি রামদা ও ২টি ধারালো ছুরি খুঁজে পায়। এছাড়া, দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় উপস্থিত জেলেরা নিহত তিন ব্যক্তি বনদস্যু সুমন বাহিনীর সদস্য বলে সনাক্ত করেন।
মেজর সোহেল রানা প্রিন্স জানান, নিহত দস্যুদের মরদেহ, অস্ত্রশস্ত্র ও মালামাল বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া, সুন্দরবনের জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে র্যাব-৮ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। শরণখালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাস জানান, থানার তদন্ত পরিদর্শক ঠাকুরদাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।