ফ্রুটস বাংলাদেশ মনোনীত কৃষকদের কাছ থেকে সরবরাহকৃত কাঠামো (frame) এর মাধ্যমে তৈরীকৃত পাটালি গুড় সংগ্রহ করে তাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্যাকেজিং রুমে মোড়কজাত করে গ্রাহক এর নিকট পৌঁছে দেয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে ফ্রুট বাংলাদেশ এর মাঠ কর্মকর্তা (Field Officer) পর্যবেক্ষণ করে থাকে বলে জানা যায়।
গুড় প্রস্তুত প্রণালি:
১. শীত আসার ৩ মাস পূর্ব থেকে কৃষক প্রতিটি খেজুর গাছের উপরিভাগ পরিষ্কার -পরিছন্ন করে ফেলে। গ্রামের ভাষায় একে “মাথা ঝোরা” বলে।
২. গাছের গোরার মাটিতে গোবর সার ও পানি দেয়া হয়।
৩. পোকা-মাকড়- এর তেমন সম্ভাবনা নাই তবুও কৃষকদের নিম তেল এর স্প্রে করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।
৪. নিজেদের শারীরিক পরিষ্কার-পরিছন্ন সম্পর্কে আমরা সচেতন থাকি।
৫. পাটালি গুড় তৈরির ক্ষেত্রে গাছ প্রস্তুত থেকে রস সংগ্রহ করা পর্যন্ত সকল পরিষ্কার-পরিছন্নতা সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয় ও পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং তারপর জ্বাল দিয়ে গুড় বানানো হয়।
গাছের যত্ন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া: প্রতিদিন ভাল আবহাওয়া থাকলে দুপুরের পরে কৃষক নিজে পরিষ্কার হয়ে গাছ কাটার প্রয়োজনীয় জিনিস — ১. বাটালী ২. নিরাপত্তা বেল্ট ৩. রস সংগ্রহের পাত্র ইত্যাদি নিয়ে গাছের উপরে উঠে যায় এবং যেখানে রস সংগ্রহের পাত্র লাগানো/বাধা হয়, সেখানে নিপুণ হাতে গাছ কাটার জিনিস দিয়ে সতন্ত্র দক্ষতায় গাছে উপরি অংশ কাটা হয় এবং সেখানে বাঁশের নল লাগানো হয়। এই নল এর মুখে একটি হাড়ি বেধে দিয়ে মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়। এরপর রস বড় চুলায় দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দিতে হয়। রস গাড় হয়ে আসলে বড় একটি মাটির পাত্রে ঢেলে “গুড় বিচ” তৈরি করে নির্দিষ্ট কাঠামোতে (frame) ঢালা হয়। গুড় জমাট বাধলে, কাঠামো (frame) থেকে গুড় সংগ্রহ করে ফ্রুটস বাংলাদেশ এর ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পণ্যের উৎস: বড়াইগ্রাম, হাওরা, নাটোর।
– বিজ্ঞপ্তি