নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ভেটেনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য। ভেটেনারিয়ানরা এখন আর উপেক্ষিত নই, প্রশংসিত। প্রাণিসম্পদ অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন করা এখন আমাদের জন্য ফরয।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর কেআইবি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ) এর নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জেলেদের আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে যাতে দেশের সেবা করতে পারে। প্রাণিসম্পদের সবক্ষেত্রেই এ সরকার উন্নতি করেছে। ভারত নয়, নিজেদের পালিত গরু দ্বারা আমরা বিগত তিন বছর ধরে কোরবানি দিচ্ছি। এটি আমাদের অর্জন, যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।
এছাড়াও তিনি জানান দেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে হরিণ চাষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিএ -এর নবনির্বাচিত মহাসচিব ডা. হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমাদের দুটো ডিসিপ্লিনের মধ্যে দ্বন্দ দূরে একটি অর্গানোগ্রাম এখন সময়ের দাবী। আমরা সেই অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক বলেন, ভেটেনারিয়ানরা এক সময় নিগৃহীত ছিল। এখন সে অবস্থা নেই।কেউ এখন আর আমাদের অবহেলা করেননা। তারা এখন আমাদের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন।
তিনি বলেন, লাইভস্টকের যে যে জোয়ার সেটির সাথে আমাদের সবাইকে শামিল হতে হবে। আমরা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে প্রবেশ করতে চাই।এ সময় তিনি ভেটেনারিয়ান ও এনিমেল হাজব্রেন্ডী পেশাদারদের দ্বন্দ নিরসনে বাহাউদ্দিন নাসিম এম.পি’র পদক্ষেপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানান।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, কৃষির প্রতিটি শাখায় আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান দরকার। দানাদার ফসলে আমরা স্বয়ংসম্পূণ হলেও পিছিয়ে আছি মাছ, মাংস ও দুধ উৎপাদনে।এদিকে আমাদের আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম বলেন, ভেটেরিনারি অত্যন্ত মর্যাদাশীল একটি পেশা। তাই, মানবস্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অর্গানোগ্রাম করতে হবে। যাই উৎপাদন করেন না কেন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের বিষয়টি সবার আগে নজর দিতে হবে।
এসিআই লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ড. এফএইচ আনসারী বলেন, বাংলাদেশের পোলট্রি খাতে বিপ্লব ঘটাতে আমরা পেরেছি গতিশীল পেশাদারিত্বের কারণে। দেশে চাহিদার তুলনায় ভেটেনারিয়ানের সংখ্যা অপ্রতুল। পোলট্রি শিল্পের মতো ডেইরি ও ক্যাটল শিল্পে যদি ভেটেনারিয়ানদের আমাদের পাশে পাই তবে, এক্ষেত্রেও আমরা বিপ্লব ঘটাতে পারবো।
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন এর নব নির্বাচিত সভাপতি ডা. এস. এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে হাজারো ভেটেনারিয়ান ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ -এর সভাপতি কৃষিবিদ এ এম এম সালেহ, মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।