মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, স্মৃতিচারণ, নাচ, গান, আড্ডা, পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজনে ৯-১০ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের প্যাথলজি বিভাগের সাবেক ও বর্তমান গ্র্যাজুয়েটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিভাগটি। দীর্ঘদিন পর সহপাঠী-বন্ধুদের সাথে সাক্ষাতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। পুরনো দিনের স্মৃতি স্মরণ করে কখনো হেসেছেন, কখনো বিমর্ষ হয়েছেন। প্যাথলজি বিভাগের সাবেক ও বর্তমান প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।
সকাল ১০ টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক ও ভেটেরিনারি অনুষদের করিডোর অতিক্রম করে সম্মেলন ভবনে গিয়ে শেষ হয়। দুই দিনব্যাপী এ পুনর্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী প্রফেসর ড. রোখসানা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুনর্মিলনী বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারি, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো.আবু হাদী নূর আলী খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আকবর বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছে। এ সুনাম সৃষ্টিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান রয়েছে। ভেটেরিনারি অনুষদের প্যাথলজি বিভাগ এ সুনামের অনন্য অংশীদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অ্যালামনাইকে আহ্বান জানান। অ্যালামনাই অনুষ্ঠানকে শুধু মিলন মেলার মধ্যে সীমিত না রেখে অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ ও অ্যালামনাইদের মাঝে সেতু বন্ধন শিক্ষা- গবেষণা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস বলেন, দেশের অগ্রগতির ধারায় রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগ। কিছু সমস্যা থাকলেও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগুচ্ছি। বিভাগের গবেষণার সুনাম সমুন্নত রাখতে অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমাদের অ্যালামনাইদের উপস্থিতি কিছুটা কম। অনেক সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল হওয়ায় তারা আসতে পারেননি। প্যাথলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মানিক লাল দেওয়ান রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো.আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সাথে সুসম্পর্ক, গবেষণায় সমন্বয়ের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা রয়েছে। তিনি পুনর্মিলনী বাস্তবায়নে সহায়তাকারী বিভিন্ন সংগঠনের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মাতৃসুলব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা আলামনাইরা প্যাথলজি বিভাগকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তারা আমাদের প্যাথলজি পরিবারের সকল সদস্যকে একত্রিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা আশাকরি প্যাথলজি বিভাগের অ্যালামনাইরা অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে।