রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

সময় বাড়লো জাতীয় মৌ মেলার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ফার্মগেটের আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়াম চত্বরে ‘ফসলের মাঠে মৌ পালন, অর্থ পুষ্টি বাড়বে ফলন’ প্রতিপাদ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া জাতীয় মৌ মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেলা। মেলা অংশগ্রহণকারীদের অনুরোধ ও ক্রেতা দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে একদিন সময় বাড়িয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। যা ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।

এ দিকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের আবাদী জমি কমছে। কৃষিকে ভর্টিক্যালি কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি সুষম খাবারের সাথে নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রণন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের সক্ষমতা বেড়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে সবকিছুতে এগিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন মেলার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। মৌ চাষ সম্প্রসারণ, প্রক্রিয়াজাত ও বিপণনের ক্ষেত্রে রোডম্যাপ তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেলার প্রতিপাদ্যের সাথে স্টলের সামঞ্জস্য, সাজসজ্জা, প্রদর্শীত মধু আইটেমের সংখ্যা, প্রযুক্তি প্রদর্শন ও সার্বিক উপস্থাপন করে জাতীয় মৌ মেলা ২০১৮ এ অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), এবং তৃতীয় হয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে আল ওয়ান মধু, দ্বিতীয় হয়েছে সলিড মধু এবং তৃতীয় হয়েছে স্বদেশী মধু। মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক মিজানুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই’র সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. আবদুল হান্নান, ডাল, তেল ও পেয়াজ বীজ উৎপাদন ও বিতরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন ও বিতরণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল আলম ও মৌ চাষী কল্যান সমিতির সভাপতি মো. এবাদুল্লাহ আফজাল।

উল্লেখ্য মেলায় সরকারি-বেসরকারি ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ৬০টি স্টল ছিলো। দ্বিতীয়দিন পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ টাকার মধু বিক্রয় হয়েছে।

This post has already been read 2988 times!

Check Also

বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন,  বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন …