মো.আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): বাংলাদেশে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে প্রবেশে শিক্ষিত তরুণদের ৫৬ শতাংশ কোটার যাতাকলে পিষ্ট হতে হচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে মাত্র ৪৪ শতাংশ মেধাবী তরুনের চাকুরিতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। দেশের প্রায় ২৬ লক্ষাধিক বিশাল শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী এ কোটার বৈষম্য থেকে মুক্তি চায়। তারা কোটা প্রথার সংস্কার দাবি করেন। দেশব্যাপি বেকারদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে তারা ওই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় ৩ শতাধিক চাকুরি প্রার্থী শিক্ষার্থী যোগ দেন।
পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে শতকরা ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে শূণ্য পদগুলোতে মেধা ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একের অধিক বার ব্যবহার বন্ধ করা, কোটায় কোনো বিশেষ ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, চাকরীর পরীক্ষায় সবার জন্য অভিন্ন নম্বর ও বয়সসীমা রাখাসহ কোটা সংস্কারের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী কামরুল হাসান কামু‘র সঞ্চালনায় ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আমিনুর রহমান অমিত, আশরাফুল আলম, হাতেম আলী, মেহেদি হাসান রাতুল, মাহমুদুর রহমান, খান আসিফ তপু, হুজ্জাতুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষ্যমের ঠাঁই নেই। আমরা কোন বিশেষ কোটার বিপক্ষে নই। আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে কোটা সংস্কার করতে হবে। তরুণ সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। লক্ষ লক্ষ বেকারদেরর প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি সুফলতা বয়ে আনার লক্ষ্যেই আমাদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চালাতে হবে।
এদিকে একই দাবিতে আগামীকাল রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একই স্থানে মানববন্ধন করবেন বলে জানিয়েছেন বক্তারা।