মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (কেবি কলেজ) পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকৃবি প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ড। সোমবার সকাল ১১টায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে গেইটের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ওই মানববন্ধনে কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষকেরা বলেন, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে গত রোববার সকালে কলেজে এসে শিক্ষকদের গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন। পরে আবার বিকাল চারটার দিকে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের বাসায় গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টেন্ডার না পাওয়ায় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম বেপরোয়া আচরণ করছে। কলেজে অবৈধভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তার অন্যায় আবদার মেনে না নেওয়ায় নানা অপকর্ম করছে। জসিমসহ প্রায় ১৫ জন আমার বাসায় এসে আমাকে ও আমার স্ত্রীর প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।
এ ঘটনায় রোববার রাতে ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের বাসায় গিয়ে হুমকির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সকাল ১১টার দিকে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের করিডোরে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। আমরা এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ সময় মানববন্ধনে প্রফেসর ড. শংকর কুমার রাহা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ. এস. মাহফুজুল বারি, ও প্রফেসর ড. এম.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকের বাসায় এসে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। সোমবার বিকলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ওই নিন্দা জানানো হয়। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি।