নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আইএফএমসি’র আয়োজনে দিনব্যাপি এক আঞ্চলিক কর্মশালা আজ নগরীর বগুড়া রোডস্থ ডিএই সম্মেলকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনার উপ-পরিচালক সাইনুর আজম খানের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমরআলী শেখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক ফসল চাষের পাশাপাশি মাছ ও গবাদিপ্রাণি পালন করেন। তাদের ক্ষেত্রে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট (আইএফএমসি) বেশ উপযোগি। এর অনেক সুবিধা। সমন্বিত কৃষি উৎপাদনে এক ফসলের উচ্ছিষ্টাংশ অন্য ফসলে ব্যবহার হয়। কোনো একটির ক্ষতি হলে অন্যগুলোদিয়ে পুষিয়ে নেয়া যায়। তিনি আউশের আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ানো জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত, বরগুনার উপ-পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর, আইএফএমসি’র আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর মো. তাওফিকুল আলম, আঞ্চলিক টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কম্পোনেন্টের কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করো হয়।
এতে বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের ৮০ জন ঊর্ধ¦তন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট কৃষকদের দল গঠনের মাধ্যমে মাঠ-ফসল, উদ্যান-ফসল, হাঁস-মুরগি ও গাভী পালনে আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা দিয়ে থাকে। সে সাথে তাদের উৎপাদিত ফসলের সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থানে কালেকশন পয়েন্ট স্থাপন করে। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা মতো পণ্য কিনে নেয়। এতে কৃষক লাভবান হন।