রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

সুন্দরবনে দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে ১৩ জেলে উদ্ধার

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে গত শনিবার দুপুর ২টা শুরু হওয়া বনরক্ষী ও কোষ্টগার্ডের যৌথ অভিযানে আরো ৭ জেলে, ৩টি ফিশিং ট্রলার ১টি নৌকা উদ্ধার হয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের গাতার খাল এলাকায় বনদস্যু মামা-ভাগ্নে বাহিনীর জিম্মিদশা থেকে ওই জেলেদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া মাছ ধরা নৌযান

অপরদিকে, ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে কটকা বনরক্ষী এবং ওই দস্যু বাহিনীর মধ্যে প্রায় আধঘন্টা ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় বনরক্ষীরা দস্যুদের কবল থেকে ৬জেলে ও ৪টি মাছ ধরা নৌকা উদ্ধার করেন। এ নিয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩জেল, ৩টি ইঞ্জিন চালিত ফিশিং ট্রলার ও ৫টি মাছ ধরা নৌকা উদ্ধার করা হয়। সাথে সাথে সুন্দরবনে যৌথ বাহিনীর অভিযান ওইদিন রাত ৮টায় সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে বলে যৌথ বাহিনী সূত্র জানিয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন মো. হাসান (৩২), মো. কামাল (২৪), মো. রকিবুল (২৮), আবুল হোসেন (৩০), মো. সোলায়মান (২৬),  মো. বাদল (২৪), মো. নুরুজ্জামান (২৬), মো. জাফর শেখ (২২), গাউস শেখ (৪২), গফ্ফার হাওলাদার (২৭), নাজমুল হক (২৬), আবুল বাশার (১৯) ও মনিরুল হক (২৩)। এসব জেলের বাড়ি খুলনার দাকোপ, সাতক্ষীরার কয়রা, বরগুনার পাথরঘাটা ও বাগেরহাটের ফরিকহাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

কটকা অভয়রণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম সরকার জানান, উদ্ধার জেলেদের তার অফিসে রাখা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ্যের নির্দেশ অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। বনবিভাগের নিয়মিত টহল আরো জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহ্দীন জানান, উদ্ধার হওয়া জেলে এবং মাছ ধরা নৌযানগুলো বনবিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে। যৌথ অভিযান শনিবার রাত ৮টায় সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে।

This post has already been read 3053 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …