বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা দুটোই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবছর দুই মিলিয়ন নতুন মূখ আমাদের জনসংখ্যার সাথে যোগ হচ্ছে। তাদের খাবার ব্যবস্থাও আমাদের করতে হবে। আমরা যদি হলুদ ভুট্টা খেতে পারি, ভুট্টার জিন নিয়ে তৈরি হলুদ গোল্ডেন রাইস খেতে অসুবিধা কোথায়। নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা দুটোই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইসের গবেষণা অগ্রগতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ” শীর্ষক কর্মশালার পলিসি সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এমপি. এসব কথা বলেন।

এছাড়াও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে বায়োটেক ও জিএম শস্যের প্রবর্তন ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফজলে ওয়াহেদ খন্দকার বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু রাতকানা ও অপুষ্টিজনিত খর্বতা এখনো দেশের জনসংখ্যার একটি অংশের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা এই সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের প্রধান খাদ্য ভাতের পুষ্টিগুন বাড়ানোর বিকল্প নেই। তিনি কর্মশালার প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও সুপারিশ দেশে গোল্ডেন রাইস অবমুক্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়ার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. ম্যাথু মোরেল বলেন, ইরি বাংলাদেশ সম্পর্ক দীর্ঘ ৪৮ বছরের বেশি সময়ের। ব্রি আমাদের অন্যতম গ্লোভাল পার্টনার। এই দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে আমরা অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও ব্রিকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে ইরি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ইরি-ব্রি পারস্পরিক বিশ্বাস ও সমঝোতার আগামী বছরগুলোতে আরো বৃদ্ধি পাবে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, আমরা বিশ্বের প্রথম জিংক ধানসহ ৫টি জিংক সমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন করেছি। গোল্ডেন রাইস এর জাত উন্নয়নও আমাদের অন্যতম গবেষণা মাইলফলক। দেশে দুধের ও ডিমের উৎপাদন ১০গুন বাড়লেও অধিকাংশ আমাদের গরীব মানুষষের তা কিনে খাওয়ার সামর্থ নেই। তাই আমরা ভাতের মধ্যে প্রয়োজনীয় মূখ্য ও গৌন খাদ্য উপাদান সংযোজনের লক্ষ্যে গবেষণা অব্যাহত রেখেছি। আশা করি, আমরা অবশ্যই সফল হবো।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবীর ইকরামুল হক বলেন, আমি জেনে খুশি যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কতিপয় পুষ্টি এবং কৃষি গবেষণা সংস্থার সহযোগীতায় ব্রি ভিটামিন-এ ঘাটতি জনিত অপুষ্টি লাঘবে সম্ভাবনাময় নতুন কৌশল হিসেবে গোল্ডেন রাইসের উন্নয়ন এবং মূল্যায়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কাজ করে চলেছে। ব্রি’র বিজ্ঞানীরা ফলন, রোগ-বালাই প্রতিরোধশীলতা অক্ষুন্ন রেখে গোল্ডেন রাইস সংস্করণ উদ্ভাবনে নিরলস গবেষণা করে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিকভাবে স¦ীকৃত মানদন্ড অনুযায়ী সকল বিধিমালা মেনে গোল্ডেন রাইসের পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

“বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইসের গবেষণা অগ্রগতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ” শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের রেগুলেটরি ও স্টুয়ার্ডশীপ লীডার ড. ডোনাল্ড জে. ম্যাকেনজি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইরি বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হামনাথ ভান্ডারী।

This post has already been read 3455 times!

Check Also

আন্তর্জাতিক ওয়ান হেলথ ডে উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, …