শেকৃবি সংবাদদাতা: এগিয়ে যাচ্ছে নারী, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। কোনদিকেই পিছিয়ে নেই তারা । যে পেশায় নারীর অস্তিত্ব একসময় ভাবা হতো না এখন তা স্বাভাবিক ব্যাপার। একসময় ভেটেরিনারিতে পড়তে মেয়েদের আগ্রহ দেখা যেত না কিন্তু এখন সেখানে মেয়েদের আধিক্য লক্ষ্য করার মত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের নারী ভেটেরিনারিয়ানগন একত্রিত হয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং ভেটেরিনারি’র বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত আছেন তারা এক হয়ে গঠন করেছেন অনলাইন ভিত্তিক ‘উইমেন ভেটেরিনারি নেটওয়ার্ক অফ বাংলাদেশ’। গতকাল ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উৎযাপনে উইমেন ভেটেরিনারি নেটওয়ার্ক অফ বাংলাদেশ এক বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজন করে।
“সময় এখন নারীরঃ উন্নয়নে তারা বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরে কর্মজীবন ধারা” শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে দুপুর দেড়টার দিকে এই র্যালি বের হয়ে খামার বাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. বাসন্তি রাণী সাহা, ডা. সামছুন নাহার , উপসচিব ডা. লায়লা আক্তার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশিদা খাতুন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ডা. সাজেদা সুলতানা, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মির্জা সিনথিয়া সাবরিন, ফার্মাকোলজি এন্ড টক্সিকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ডা. রূপালি আক্তার, এলআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. সোনালী দেবনাথ সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উইমেন ভেটেরিনারি নেটওয়ার্ক অফ বাংলাদেশ এর সদস্য ডা. সাজেদা সুলতানা বলেন, “নারী ভেটদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যৌক্তিক দাবী প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে উইমেন ভেটেরিনারি নেটওয়ার্ক অফ বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। বর্তমানে আমাদের ৫৫১ জন সদস্য রয়েছে।”
ভবিষ্যতে তাদের কি পরিকল্পনা রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমকে ভবিষ্যতে সাংগঠনিক রুপ দিয়ে সারাদেশে সম্প্রসারিত করে নারীর অধিকার ও সুবিধার জন্য কাজ করে যাবে এ সংগঠন।