চট্টগ্রাম সংবাদাতা: গুটিকয়েক অসাধুলোকের কাছে পুরো সমাজ যেন জিম্মি, সমাজের ভালো মানুষগুলো সব সময় সমাজের অনিয়ম, রাজনীতি, সমাজনীতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রেখেছেন ফলে সরকারী সেবা সংস্থা বিশেষ করে জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস, থানা, আদালত, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, রাজনীতির ময়দান, সব জায়গায় কিছু দুষ্ট লোকের অবাধবিচরন ও আধিপত্য। সে কারণে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারনা, মানুষ ঠকানো এখন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়ে আছে। আর সমাজের বিবেক বলে পরিচিত নাগরিক সমাজের কন্ঠও অনেক সময় সেখানে সোচ্চার হচ্ছে না, ফলে কিছু বিভ্রান্ত লোকজন পুরো সমাজকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে, সেখানে সত্যিকারের সুশাসন একটি বড় সুচক। আর সমাজের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুটিকয়েক মানুষের কর্মকান্ড পুরো দেশকে আবারো দরিদ্র দেশের কাতারে নিয়ে যাবে। তাই এ অবস্থায় সমাজের ভালো মানুষগুলোকে নিরবতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে এ সমস্ত সামাজিক জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য উদ্যোগী হবার আহবান জানানো হয়েছে। বুধবার (১৮ এপ্রিল) নগরীর ক্যাব বিভাগীয় কার্যালয়ে ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে চষধহহরহম ভড়ৎ হবীঃ চযধংব রিঃয গঁষঃর ংঃধশবযড়ষফবৎং কর্মশালায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ইউকেএইড’র সহায়তায় বৃটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ প্রকল্পের কারিগরী সহযোগিতায় পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী। অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, থানা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভুষন দাশ, সিটি কর্পোরেশনের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. আবুল হাশেম।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, নারী নেত্রী শাহীন আকতার বিউটি, ক্যাব পাঁচলাইশ থানা কমিটির সহ-সভাপতি সায়মা হক, যুগ্ন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট আসমা আখতার, দৈনিক পুর্বদেশ’র নিজস্ব প্রতিবেদন এম এ হোসেন, পোল্ট্রি খামারী নাজিম উদ্দীন, পোল্ট্রি লাইফবার্ড বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম, শিক্ষিকা রেশমি আকতার, ডিপিও জহুরুল ইসলাম, ক্যাব নেতা রুখসানা আখতারুন্নবী, হারুন গফুর ভুইয়া, নাসিমা আলম, ক্যাব চট্টগ্রামের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মশিউর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় আরো মত প্রকাশ করা হয়, সরকার প্রশাসনকে জনবান্ধব, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য শুদ্ধাচার নীতি প্রণয়ন করেছেন আর সে আলোকে প্রতিটি সরকারী দপ্তরের জন্য বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ করেছেন। আর জনগনের কাছে সেবা পৌছাতে ভোগান্তি হলে গণশুণাণীর আয়োজন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু গণশুণাণীর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেবাপ্রদানকারী, ভুক্তভোগী, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধির, ভোক্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি অংশগ্রহন ছাড়া গণশুণাণীগুলি দ্বিপাক্ষিক সভার মতো হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে সরকারী কর্মকান্ডের বিষয়ে নাগরিক পরীবিক্ষণ না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ভোগান্তির মাত্রা বাড়ছে। যার ফলে সরকারের স্বদিচ্ছার প্রতিফলন মাঠ পর্যায়ে ঘটছে না। কর্মশালায় চট্টগ্রামে পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেশ কিছু করণীয় নিয়ে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলির মধ্যে পোল্ট্রি খামারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরো দক্ষতা উন্নয়ন, পোল্ট্রি শিল্পে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে পরীক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার, গণমাধ্যম, শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের কাছে পুষ্ঠিকর খাবার এবং পোল্ট্রি সম্পর্কে তথ্য প্রদান, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সাথে ভোক্তা ও খামারীদের কার্যকর সমন্বয় জোরদারকরণ ইত্যাদি।