নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরাও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া, হঠাৎ বন্যা, অসময়ে ঝড়-জলোচ্ছাস, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং পোকামাকড়ের উপদ্রবে ফসলের উৎপাদন কখনো কখনো ব্যাহত হচ্ছে। সে কারণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকে ধরে রাখাই এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করেই কৃষিকে জয়ী করতে হবে। বুধবার (৯ মে) বরিশালের রহমতপুরস্থ আরএআরএস সম্মেলনকক্ষে দু’দিনের এক আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং) মো. শোয়েব হাসান এসব কথা বলেন।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবদুল ওহাব। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ, ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কিংকর চন্দ্র দাস এবং আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবু লাল নাগ।
আরএআরএস’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিএই বরগুনার উপ-পরিচালক মো. সাইনুর আজম খান, রাজবাড়ির উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, ঝালকাঠির উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, বরিশালের উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী, ভোলার উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার সাহা, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক হৃদয়েশ^র দত্ত, পিরোজপুরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হোসেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চলমান কার্যক্রম এবং কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এছাড়া ডিএই’র বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১১ জেলার কৃষির সমস্যা এবং সম্ভাবনার চিত্র পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৮০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।