এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্পের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং উন্নতজাতের পোল্ট্রি ব্রিড থেকে উৎপাদিত একদিন বয়সী বাচ্চার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে, দেশের মানুষের ডিম ও মুরগির মাংসের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে গত ১২ মে গঠিত হলো ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) এর নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ।
এ উপলক্ষ্যে গত শনিবার, বিকালে বিএবি’র নিকেতনস্থ কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত সদস্যবৃন্দের সহমতের ভিত্তিতে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।
১৫ সদস্যের এ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাহার এগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. রাকিবুর রহমান (টুটুল) এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি. -এর পরিচালক জনাব আসিফুর রহমান।
জনাব টুটুল বলেন- পোল্ট্রি শিল্পের যতগুলো শাখা রয়েছে তার মধ্যে ব্রিডিং এবং হ্যাচারি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। সারাদেশের চাহিদা পূরণ করতে বর্তমানে ৮টি কোম্পানীর মোট ১৬টি গ্র্যান্ড প্যারেন্টস্টক খামার এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই শ’র মত প্যারেন্টস্টক খামার ও হ্যাচারি রয়েছে। তিনি বলেন, উন্নত জাতের ব্রিড থেকে উৎপাদিত স্বাস্থ্যসম্মত একদিন বয়সী বাচ্চার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্রিডার ফার্মগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বর্তমানে দেশে একদিন বয়সী বাচ্চার যে চাহিদা তার পুরোটাই আমরা পূরণ করছি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মুরগির মাংস ও ডিম আমরা সরবরাহ করতে চাই এবং সে লক্ষ্যে পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সরকারের সাথে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন একযোগে কাজ করছে।
আসিফুর রহমান বলেন- বিগত কয়েক মাস যাবৎ একদিন বয়সী বাচ্চা, ডিম ও মুরগির মাংসের দরপতনের কারণে পোল্ট্রি শিল্পে অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকটকালীন সময়ে বিএবি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুণঃনির্বাচিত হওয়া এবং এ শিল্পের চলমান সংকট মোকাবেলা করা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। দেশের পোল্ট্রি ব্যবসায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চাহিদা ও উৎপাদনে ভারসাম্য আনতে হবে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন জনাব আসিফ। কারণ, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে কখনও উৎপাদন কমে যায় আবার কখনও বেড়ে যায়। এতে ব্রিডার থেকে শুরু করে সাধারণ খামারি সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হন।
তিনি বলেন- “জাতীয় বাজেট আসন্ন। আমরা আশা করবো খামারি ও উদ্যোক্তাদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে আসন্ন বাজেটে সরকার এ শিল্পের ওপর থেকে সব ধরনের কর ও শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিবেন।”
বিএবি’র ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের জন্য যাঁরা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন- জনাব মো. রাকিবুর রহমান (টুটুল)- সভাপতি; জনাব সৈয়দ আসাদুজ্জামান- সিনিয়র সহ-সভাপতি, জনাব সফিকুল ইসলাম- সহ-সভাপতি, জনাব আসিফুর রহমান- সাধারন সম্পাদক; জনাব গাফ্ফার আহম্মেদ- যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক, জনাব শামসুল আরেফিন খালেদ- কোষাধ্যক্ষ; জনাব মোহাম্মদ নূরুন্নবী ভূঁইয়া- সাংগঠনিক সম্পাদক; জনাবা শাহিদা পারভিন তৃষা- সাংস্কৃতিক সম্পাদক; জনাব মো. মাহবুবুর রহমান- জনসংযোগ ও গণমাধ্যম সম্পাদক; এবং জনাব মো. মোসলেহ উদ্দীন, অফিস সম্পাদক। নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- জনাব মসিউর রহমান, জনাব আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জনাব মো. হারুন-অর-রশিদ, বিপি; জনাব সাইদুর রহমান বাবু এবং জনাব এম. আজগর দাদা।
উল্লেখ্য, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) গঠিত হয় ২০০৪ সালে। সে সময় সভাপতি ছিলেন জনাব সৈয়দ কায়সার কবির এবং মহাসচিব ছিলেন জনাব মসিউর রহমান। জয়েন্টস্টক কোম্পানীতে নিবন্ধিত এ সংগঠনটি ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সদস্য। বিএবি’র বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০৭।