২) তাকবীরে তাহরিমা তথা আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধার আগে চিন্তা করা আমি কার সামনে দাঁড়াচ্ছি। যার সামনে দাঁড়াচ্ছি তিনি কতো বড়, কতো মহান। দুনিয়ার একজন সামান্য প্রেসিডেন্টের সামনে যদি আমি দাঁড়াই তবে যেরকম মনোযোগ সহকারে স্থির হয়ে দাঁড়াতাম, তাহলে সমগ্র সৃষ্টিজগতের মালিকের সামনে দাঁড়ালে আমার আচরণ কীরকম হওয়া দরকার?
৩) তাজওয়ীদ সহকারে ধীরে ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা ও রুকু সিজদাহর তাসবীহ ভক্তিসহকারে আদায় করা।
৪) হাদিসে এসেছে, বান্দা যখন সিজদাহ অবস্থায় থাকে তখন সে মহান আল্লাহর খুব নিকটবর্তী হয়ে যায়। তাই সিজদাহ অবস্থায় আমাদের মনে এই ধ্যান আসা উচিত যে আমার দেহের সবচেয়ে সম্মানের অঙ্গ মাথাকে আমার মালিকের সামনে লুটিয়ে দিলাম শুধুমাত্র তারই অনুগ্রহ পাওয়ার আশায়।
৫) এই ধ্যান করা যে আমার মনের অবস্থা একমাত্র আল্লাহই জানেন। রিয়া তথা লোকদেখানোর চিন্তা মাথায় আসার সাথে সাথেই ঝেড়ে ফেলা, শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই সালাতকে সুন্দর করার চেষ্টা করা। আর কাল হাশরের ময়দানে এই সালাতের প্রতিদানের আশা করা, সাথে সাথে নিজের গুনাহ ও দুর্বলতার কারণে সালাত অগ্রাহ্য হওয়ার আশঙ্কাও রাখা।
৬) নড়াচড়া করা, দাড়িতে হাত বুলানো, গা চুলকানো, মশা তাড়ানো, টুপি ঠিক করা, জামা টেনে টুনে ঠিক করা ইত্যাদি অযথা কাজ পরিহার করার চেষ্টা করা।
৭) মনে মনে চিন্তা করা যে আমি পুলসিরাতের উপর দাঁড়িয়ে আছি, আমার ডানে জান্নাত, বামে জাহান্নাম, মাথার উপর গুনাহের বোঝা, পেছনে মালাকুল মাউত জান কবজের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। মনে করা যে এটিই আমার জীবনের শেষ সালাত, এরপর হইত আমার আর সালাত আদায়ের সুযোগ হবে না
মহান আল্লাহ আমাদেরকে খুশু-খুযুর সহিত সালাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
– রেদোয়ানুল হক