নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : রিভিউ ওয়ার্কশপ মানে গত এক বছরের কাজের বিশ্লেষণ। যে কোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রে কী কাজ হয়েছে, কী হলে আরো ভালো হতো, সমস্যা এবং সম্ভাবনার সব চিত্র তুলে ধরা হয়। সে সাথে থাকে পরবর্তী বছরের সুপারিশমালা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্ষুদ্রচাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্পের বেলায় ঠিক তেমনি। ০৬ জুন ভোলা জেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এক রিভিউ ওয়ার্কশপেপ্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাওয়ার টিলারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নিজেদের পাশাপাশি ভাড়ায় দিয়ে গ্রুপের আয় বাড়ানো সম্ভব। আমরা চাই আপনাদের উন্নয়ন। আপনাদেরকে নিয়েই সরকার যত ভাবনা। কৃষকের উন্নতিই, দেশের উন্নতি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপ পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, বোরহানউদ্দিনের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ওমর ফারুক, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি নাহিদ বিন রফিক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিলন কান্তি ঘোষ, আদর্শ কৃষক মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার কৃষক গ্রুপে ৩০ জন হিসেবে দেড় লাখ ভূমিহীন ও প্রান্তিক চাষিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কৃষকদের সুবিধার্থে ট্রেনিং সেন্টার ও বিটুমিনাস রাস্তা নির্মাণ, কৃষি যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উপকরণ চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে কৃষকের জীবনমান হয়েছে উন্নত। অনুষ্ঠানে কৃষকসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, এলজিইডি, বারি, বিএডিসির ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।