নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): পুষ্টি নিরাপত্তায় দেশীয় ফলের উন্নয়ন অনস্বীকার্য। স্থানীয়ভাবে জমানো অসংখ্য ফল দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। দক্ষিণাঞ্চলে ফল ও সবজি তেমন ভালো হয়না, আগে এমনি ধারণা ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়ার কারণে বর্তমানে এ অঞ্চলে বেশ ক’টি ফল ও সবজি আবাদ যথেষ্ঠ আশাব্যঞ্জক। বিশেষকরে পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল এবং মাল্টার জন্য সেরাই বলা যায়। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বরিশালের রহমতপুরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের চত্বরে দক্ষিণাঞ্চলে জমানো দেশীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) পরিচালক ড. গোলাম মোর্শেদ আবদুল হালিম এসব কথা বলেন।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ এবং গাজীপুরস্থ বারির ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মদন গোপাল সাহা।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন, গাজীপুরস্থ বারির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মনোরঞ্জন ধর। অনুষ্ঠানে বরিশাল অঞ্চলের ১৯ উপজেলার ৩৮ ধরনের তিন শতাধিক ফল প্রদর্শিত হয়। এতে দর্শকের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানে কৃষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দু’শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।