ইফরান আল রাফি (পবিপ্রবি প্রতিনিধি): জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে দেশে আবাদি জমির পরিমান হ্রাস পাচ্ছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। বর্তমানে আবাদি জমিতে তৈরী হচ্ছে মিল, ফ্যাক্টরী আর বহুতল ভবন। মানুষ তার পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মেটাতে এবং সতেজ শাকসবজি ও ফুল, ফলের জন্য ঝুঁকছে ছাদ কৃষির দিকে। মূলত মনতুষ্টি, সতেজ, রাসায়নিক বালাইনাশক মুক্ত ফুল, ফল এবং শাকসবজির যোগান দেওয়াই ছাদ কৃষির উদ্দেশ্য। বাসা কিংবা অফিসের ছাদে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ছাদ কৃষি। বাসার ছাদে মূলত শাকসবজি, ফুল আর ফলমূল চাষ করা এবং অফিসের ছাদে মূলত সুন্দর্য্যবর্ধনশীল গাছ রোপন করা হয়।
ছাদ কৃষির ফলে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তেমনি ভাবে পরিবেশ থাকে সুন্দর ও দূষনমুক্ত এবং প্রতিটি বৃক্ষ যেন এক একটি অক্সিজেন ফ্যাক্টরি হিসেবে কাজ করে। ছাদ কৃষির জন্য তেমন কোন বিশেষ পুঁজি দরকার হয়না। ছাদ কৃষিতে গাছগুলো মূলত টব/পট এ রোপন করা হয়। বাসার পরিত্যাক্ত কৌটা, কন্টেইনার, বোতল, বালতি, ঝুড়ি ইত্যাদিতে গাছ রোপন করা হয়। তাছাড়া বর্তমানে বৃহৎ পরিসরে ছাদ কৃষি করার জন্য ইটের তৈরী বড় বড় টব ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাদ কৃষিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, মূলত জৈবসার হিসেবে গোবর সার, ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক বালাইনাশক মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে শিক্ষিত স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ছাদ কৃষি করছে। ছাদে মূলত সবজি হিসেবে পুইশাক, বেগুন, লাউ, চালকুমড়া, লেবু, পেঁপে, ঢেঁড়স, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। ফল হিসেবে খাটো উন্নতজাতের আম, লিচু বড়ই, ডালিম, ড্রাগন ফল বিশেষ ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা ও সতেজ ভেজালমুক্ত শাকসবজির চাহিদা মেটাতে ছাদ কৃষি উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।