ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা): ধীরগতিতে চলছে খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেল সেতুর কার্যক্রম । এ প্রকল্পটির জমি অধিগ্রহনে দীর্ঘ সময়ক্ষেপনের কারণে খুলনা- মংলা রেল সেতুর কাজের কাংক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। সেতুর সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে খুলনা- মংলা রেল সেতু প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। রূপসা রেল সেতুর এই ধীরগতির কারণে খুলণাঞ্চলের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে অসন্তোষ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা মংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এরপর ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল রূপসা রেল সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্টের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দুই দফায় পাইল টেস্ট হয়। দুই দফায় ৪০ ও ৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের পাইল লোড টেস্ট ফেল হওয়ার পর রেল ভবনে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রেরণ করেন খুলনা- মংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক। পরে ডিজাইন পরিবর্তন করে সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর এ ৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের আরেকটি পাইল লোড টেস্ট করলে সেটি সফল হয়। সফল পাইল লোডটেস্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেল সেতুর পাইলিংয়ের কাজের উদ্বোধন করেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। প্রকল্পের মেয়াদ ৪২ মাস। যা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা। কাজের গতি কম থাকার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কার্যক্রম শেষ করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেল সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের প্রতীক। রেল সেতুটি হলে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। তিনি ধীর গতির ব্যাপারে বলেন, সরকারি অনেক বড় প্রজেক্ট। তাই একটু বেশি সময় লাগছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, রূপসা রেল সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব না হলে এ অঞ্চলের জন্য সুখকর হবে না।
সাধারণ পথচারি মো. সোহেল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি রেল সেতুর কাজ চলমান। কিন্তু কে জানে কবে শেষ হবে? রেল সেতু উদ্বোধনের পর এই অঞ্চলের হু হু করে বাণিজ্যিক পরিবর্তন দেখা দিবে।