নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে মোট মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিবেদন অনুযায়ী দৈনিক জনপ্রতি মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম কিন্তু গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ গ্রাম। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় দেশের একজন মানুষ গড়ে দৈনিক ২.৫৮ গ্রাম মাছ বেশি গ্রহণ করছেন।
বুধবার (১৮ জুলাই) ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে রাজধানীর মৎস্য ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এম.পি।
মন্ত্রী বলেন, বিগত ২০০৮-০৯ সনে দেশে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ সনে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জেলে পরিবারকে মানবিক ও আর্থিক সহায়তা, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলে পরিবারকে ভিজিএফ প্রদান ইত্যাদির ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ইলিশ শীর্ষক ভৌগলিক সনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে এখন থেকে বিশ্বের কাছে নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত হবে বাংলাদেশের ইলিশ। দি প্রটেকশন এন্ড কনজার্ভেশন অব ফিস রুলস ১৯৮৫ সংশোধন করে বিদ্যমান ৫টি অভয়াশ্রমের সাথে বরিশাল জেলায় ৬ষ্ঠ অভয়াশ্রম ঘোষণার প্রাক প্রকাশনার গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। অভয়াশ্রম ঘোষণার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. গোলজার হোসেন, বিএফডিসি’র চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।