নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবছর আমরা প্রচুর পরিমানে অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করি। মৎস্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সেগুলো আমরা পুড়িয়ে ফেলি। কিন্তু এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এগুলোকে পুড়িয়ে ধ্বংস করাই একমাত্র সমাধান নয়। জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলোকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করতে হবে এবং তাহলে রাষ্ট্রের উপকারে আসবে।
সোমবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী । তিনি বলেন, গুণগত মানের পোনা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফিডের ক্ষেত্রেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে কিছু কিছু জটিলতার কারণে ফিড উৎপাদন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের রাস্তাঘাট তৈরিতে প্রচুর পরিমাণ বিটুমিনের প্রয়োজন হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অবৈধ কারেন্ট জাল না পুড়িয়ে সেগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে বিটুমিন তৈরির মাধ্যমে সেগুলোকে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রায় ৯৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে।
মৎস সংরক্ষণ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীকে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার ২০১৮ এ স্বর্ণপদক ও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ৫.৫০ কোটি টাকা মূল্যমানের ১.৬৮ লাখ কেজি মা ইলিশ জব্দ, ১৬৩২ কোটি টাকা মূল্যমানের ৮৯ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, ৯২৪ জন জেলে আটক, ১০২ জন অপহৃত জেলে উদ্ধার, জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদেরকে সহায়তা প্রদান করাসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার স্বীকৃতিস্বরূপ উক্ত পুরস্কার দেয়া হয়।