শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

রাজশাহীতে ভেড়া খামারী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত ও সনদ বিতরণ

রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের আয়োজনে ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে রাজশাহী পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলার ৬৫ জন খামারীকে ভেড়া পালন প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ করা হয়। শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারিকেলবাড়ীয়া ক্যাম্পাস্থ ভেটেরিনারি ক্লিনিক, কৃত্রিম প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবি. ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের চেযারম্যান প্রফেসর ড. মোছা. ইসমত আরা বেগম।

ভেড়ার মাংসকে ভেড়ার মাংস হিসেবে বিক্রি ও বরেন্দ্র, যমুনা অববাহিকা ও সমুদ্র সোপানের ভেড়াকে পরিচিতি এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত “ভেলিডেশন অফ গুড প্র্যাকটিসেস অফ অন-ফার্ম ল্যম্ব প্রোডাকশন সিস্টেমস” শীর্ষক প্রকল্পের জন্য খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.আনন্দ কুমার সাহা ও প্রফেসর ড. চৌধুরী জাকারিয়া, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের লাইভস্টক ও ফিশারিজের প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর ড. কাজী এম. কমরউদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্সের প্রফেসর ড. আবুল হাশেম, রাবি. কৃষি অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর ড. সালেহা জেসমিন, রাবি রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. এম.এ. বারী।

রাবি. ডেপুটি চীফ ভেটেরিনারি অফিসার ও প্রকল্প কো-ইনভেস্টিগেটর ড. হেমায়েতুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ভেড়া পালন প্রশিক্ষণের ওপর পাওয়ার পয়েন্টে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক ও ভেলিডেশন অফ গুড প্রাকটিসেস অফ অন-ফার্ম ল্যম্ব প্রডাকশন সিস্টেমস প্রকল্প কো-ইনভেস্টিগেটর রাবি. প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন সরদার। স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাবি. সহযোগী অধ্যাপক ও ভেলিডেশন অফ গুড প্র্যাকটিসেস অফ অন-ফার্ম ল্যাম্ব প্রডাকশন সিস্টেমসের প্রিন্সিপাল ইনভেষ্টিগেটর ড. রাশিদা খাতুন ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাবি. সহযোগী অধ্যাপক ও এই প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর ড. আখতারুল ইসলাম, বি.এল.আর.আই এর গবেষক ও এই প্রকল্পের সমুদ্র অববাহিকা অঞ্চলের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. সাদেক, রাবি. ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষক, পবা ও গোদাগাড়ী অঞ্চলের ৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ও পবা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইসমাঈল হক ও গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.সুবাস কুমার দাস।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন যদিও আদিকাল হতেই গ্রামে ভেড়া পালন হয়ে আসলেও বাজারে ভেড়ার মাংস বলে কোন মাংস পাওয়া যায়না। অথচ সারা বিশে^ ভেড়ার মাংস একটি উৎকৃষ্ট মানের মাংস হিসেবে পরিচিত। কাজেই আমার বিশ^াস এই প্রকল্প ভেড়াকে তার পরিচিতি দান করবে যার ফলে ভেড়া চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। তারা আরো বলেন, ভেড়া চাষের উপযোগীতা সৃষ্টির ফলে দারিদ্র বিমোচনের আরও একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। বক্তব্য শেষে অতিথিবৃন্দের নিকট হতে প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স সমাপনি সনদ গ্রহন করেন। সেইসাথে ভেড়া পালন প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন করা হয় ।

This post has already been read 3766 times!

Check Also

মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

সাভার সংবাদদাতা: মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় …