সোমবার , নভেম্বর ২৫ ২০২৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শোক দিবস পালন

নিজস্ব সংবাদাতা: জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বুধবার (১৫ আগস্ট) মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে। মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ প্রধান অতিথি ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা অভাবনীয় যে, মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু কীভাবে অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন? ফলে যেখানে যাই শুধু তারই ছোঁয়া খুঁজে পাই। তাই দেশের প্রতিটি উন্নয়ন কাজের আমরা ৭২, ৭৩ ও ৭৪ সালের বিভিন্ন আইন ও অধ্যাদেশই দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুর এই অবদানের বিনিময়স্বরূপ প্রতিটি সরকারি কর্মচারীরই উচিত তার কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে থেকে সুশৃঙ্খল জাতিগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। অন্যথায় সরকারের উন্নয়ন কাজসমুহ ব্যাহত হতে বাধ্য।

বঙ্গবন্ধু দেশের মৎস্যখাতকে অর্থনীতির দ্বিতীয় উৎস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই আজ মৎস্যখাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে আমরা তা প্রমাণ করেছি। দেশের খাদ্য ও আমিষের চাহিদা পূরণের দায় একমাত্র আমাদের মন্ত্রণালয়েরই ওপর ন্যস্ত বলে এখানে কাজ করতে কারো হীনমন্যতায় ভোগা উচিত নয়। বরং গর্ব করাই উচিত।

আমরা আবার মাছেভাতে ও দুধেভাতে বাঙ্গালির হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দুধ ও ডিম উৎপাদনে যথাক্রমে ৬৫% ও ৮৫% অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং শিগগিরই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএফডিসির চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরুণ কুমার মালাকার, মৎস অধিদপ্তরের ডিজি গুলজার হোসেন ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বক্তৃতা করেন।

এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

This post has already been read 3523 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …