ডেস্ক রিপোর্ট : আর মাত্র কয়েকদিন পরে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎস ঈদুল আযহা। সামর্থ্যবান মুসলমানেরা দিনটিতে পশু কোরবানী দিয়ে থাকেন। তার আগে হাটে যেয়ে পছন্দসই গরু কিনে আনেন। তবে অনেকেই জানেনা কিভাবে ভালো গরু বাঁছাই করতে হবে। ভালো গরু বাঁছাইয়ের জন্য এখানে কিছু মূল্যবান টিপস দেয়া হলো-
- কোরবানির গরু কিনতে যাওয়ার সময় অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত, যিনি ভালো ও সুস্থ গরু সঠিক চিনতে পারেন।
- কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে বয়স বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গরুর ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে দুই বছর হওয়া দরকার। সাধারণত এটা গরুটির দাঁত দেখে বুঝা যায়। সুস্থ পূর্ণবয়স্ক গরুর দাঁত দেখে ৫ বছর পর্যন্ত বয়স সনাক্ত করা যায় নিখুঁতভাবে। ২ বছর বয়সী একটি সুস্থ গরুর দু’টি স্থায়ী কর্তন দাঁত থাকে, ৩ বছর বয়সে চারটি, ৪ বছর বয়সে ছয়টি ও ৫ বছর বয়সে পুরো মুখে সর্বমোট আটটি স্থায়ী কর্তন দাঁত থাকে। দাঁতগুলো অক্ষত এবং দেখতে সুন্দর হয়।
- দিনের আলো থাকতেই পশু কেনা ভালো। কেননা রাতের বেলায় পশু রোগাক্রান্ত নাকি সুস্থ তা ভালোভাবে বোঝা যায় না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ গরু কেনার সম্ভাবনা থাকে।
- গরুর মুখের সামনে কিছু খাবার ধরে দেখুন। সুস্থ হলে নিজ থেকে জিভ দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকবে। অসুস্থ পশু সচরাচর খাবার খেতে চায় না।
- গরুর নাকের দিকে লক্ষ করুন। সুস্থ পশুর নাকের উপরটা ভেজা ভেজা থাকে।
- গর্ভবতী গরু কোরবানি দেওয়া হারাম। তাই সবার আগে সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন।
- সুস্থ পশুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।
- গরু কেনার ক্ষেত্রে দেশি গরু কেনা ভালো। কেননা সীমান্ত পার হয়ে আসা বাইরের গরুগুলো ভ্রমনের কারনে বেশ ক্লান্ত থাকে, অনেক সময় ছোট-খাট আঘাতপ্রাপ্তও হয়। আর এধরণের ঝিমাতে থাকা গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ সেটা বোঝা বেশ কঠিন।
- হরমোন দেয়া গরুর গায়ে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে সেখানে দেবে গর্ত হয়ে থাকে অথবা সাথে সাথে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।
- পশু কেনার আগে এর শরীরের কোথাও ক্ষত আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। শিং ভাঙ্গা আছে কিনা, লেজ, মুখ, দাঁত, খুর এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখুন, কোন খুঁত চোখে পড়ে কিনা।
উপরোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল করে কোরবানির পশু কিনলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব।