১. গ্রিক দই : না না, দই খেতে সুদূর গ্রিস দেশে যাবার দরকার নেই। ঘরেই বানাতে পারেন এই পুষ্টিকর খাবারটি। এই বিশেষ দইটিতে অন্যান্য দইয়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রোটিন। এতে অবশ্য ফ্যাটও থাকে। তবে তাতে ক্ষতি তো নেই, বরং আছে উপকার। মগজের কোষগুলো কে দারুণ চাঙা করে তুলতে পারে।এই খাবারটি রক্ত পরিবহন প্রক্রিয়া দ্রুততর করে এবং সহজেই মগজে রক্ত পৌঁছে দেয়।
২. ডিম : ডিমে আছে প্রোটিন এবং আরো কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিম দিতে পারেন সকালে নাস্তার সময় অথবা সন্ধ্যের দিকে, রাতের খাবারের ঘন্টা দুয়েক আগে। এটা যেমন এনার্জি যোগায়, তেমন ক্ষুধাও মেটায়। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেটের দারুণ এক মিশ্রণ!
৩. সবুজ শাক : পপাইকে দেখেছেন তো, স্পিনাচ খেয়ে কীভাবে রাতারাতি অতি শক্তিশালী হয়ে যায়! আপনার শিশুটিও এমন হয়ে উঠুক তাই চান? এর সহজ সমাধান হলো সবুজ শাক। অবশ্য খাবার সাথে সাথেই সে শক্তিশালী হয়ে উঠবে না, তবে দীর্ঘমেয়াদে দারুণ সুফল পাবে। অনেক বাচ্চাই শাক খেতে চায় না। শাক বড়া অথবা চিপসের মত করে বানিয়ে দিতে পারেন।
৪. ওটস : ইদানিং ডায়েটের জন্যে ওটস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর স্বাদ সম্পর্কে খুব ভালো কথা শোনা যায় না। তাই বলে কি আপনার সন্তান এই পুষ্টিকর খাবার টি থেকে বঞ্চিত হবে? প্রশ্নই ওঠে না। নানারকম ওটস এর রান্না আছে। ওটস খিচুড়ি, ওটস কেক, ওটস মিষ্টি ইত্যাদি। ওটসের প্রোটিন এবং আঁশ হার্ট এবং ব্রেইনের জন্যে খুবই ভালো।
৫. আপেল এবং বড়ই : ডেজার্ট আইটেম হিসেবে এ দুটি ফল রাখতে পারেন। এর যেমন পুষ্টি, স্বাদও তেমন। বানাতে পারেন চাটনি, আচার, কেক আরো অনেক কিছু। এতে আছে এ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং কুয়ার্সেটাইন যা মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর।
সূত্র: অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স