ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনায় আগামী ১ অক্টোবর হতে ৭ অক্টোবর কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৫১৪ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে একটি জেলা এ্যাডভোকেসি সভায় আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আতিয়ার রহামন শেখ।
এ্যাডভেকেসি সভায় জানানো হয়, আগামী ১ অক্টোবর হতে ৭ অক্টোবরে খুলনায় সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে পাঁচ হতে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কৃমিনাশক (মেবেনন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। স্কুল কেন্দ্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরের সমবয়সী শিশুদেরকেও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। কৃমিমুক্ত সুস্থ্য সবল জাতি গঠনই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
সভায় আরও জানানো হয়, কৃমির আক্রমণে মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে, রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়, বদহজম, ডায়ারিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এপেন্ডিসাইটিসসহ অতিমাত্রায় কৃমির আক্রমণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কৃমি প্রতিরোধ করতে হলে খালি পায়ে চলা ফেরা না করে জুতো ব্যবহার করা, পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাতের নখ ছোট রাখা, খাদ্যদ্রব্য ঢেকে রাখা, ফলমূল ধুয়ে খাওয়া এবং খাবার গ্রহণের পূর্বে দুই হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
এবারে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার দুই হাজার দুইশত ২৮টি সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮৪ হাজার সাতশ ৪১ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা মহানগরীতে পাঁচশ ৯১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৪২ হাজার সাতশ ৭৩জন শিশুকে এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৫১৪ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
সভায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তৃতা করেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার রুহুল আমীন, সহকারী জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং কেসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ মো. কামরুল ইসলাম। কৃমি বিষয়ে তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন খুলনা জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. শরাফত হোসাইন।
সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, সমাজসেবা, তথ্য, ইসলামিক ফাইন্ডেশননের প্রতিনিধিসহ বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।