বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

জাটকা নিধন এবং মা-ইলিশের আহরণ রোধে দরকার আন্তঃদেশীয় উদ্যোগ -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদাতা: ‘আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ নামক একটি একটি সংস্থার উদ্যোগে ২৭-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী ‘‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০১৮” শুরু হয়েছে ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে।

কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এম.পি, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি কাজী রোজী এম.পি, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যামসু্ন্দর সিকদার, মৎস অধিদপ্তরের ডিজি আবু সাঈদ মো. রাশেদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আআমস আরেফিন সিদ্দিক, শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের কবি-সাহিত্যিকগণ উপস্থিত থেকে ইলিশের পক্ষে কবিতা পাঠে অংশ নেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী কবি-সাহিত্যিক অংশগ্রহণে ইলিশকে কাব্যে স্থান দেয়ার মাধ্যমে এর প্রচার-প্রসার ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংস্থাটির অবদানমূলক এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনিও তার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে ইলিশের পক্ষে জনমত গঠনের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন।

ইলিশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দেশবাসীসহ সরকারের কঠোর মনোভাবের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইলিশের নির্দিষ্ট কোনো দেশ নেই বলে অবারিত সাগর-নদীর মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় অবস্থানে এরা বেড়ে ওঠে। তাই এদের প্রাচুর্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের মতো জাটকা নিধন রোধ এবং মা-ইলিশের আহরণরোধে ও দরকার আন্তঃদেশীয় সমন্বিত উদ্যোগ।

বক্তারা আলোচনা ও কাব্যে ইলিশের গুণাগানের মাধ্যমে এর প্রাচুর্য বৃদ্ধি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর জোর দেন এবং আবার মাছে-ভাতে বাঙালির হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনায় সরকারসহ মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

This post has already been read 3207 times!

Check Also

যে জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়, ওই জেলার মানুষ গরিব হতে পারে না -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ভোলা সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ …