মাহফুজুর রহমান(চাঁদপুর): ইলিশ উৎসব চাঁদপুরবাসীর প্রাণের উৎসব। এটি নিছক কোনো উৎসব নয়, চাঁদপুরবাসীর জন্য সার্বজনীন উৎসব এটি।
বাংলাদেশ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইন বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ১০ম ইলিশ উৎসবের ৪র্থ দিনে ইলিশ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
‘জেগে ওঠো মাটির টানে’ এই শ্লোগানে সাংস্কৃতিক সংগঠন চতুরঙ্গের আয়োজিত ইলিশ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, চতুরঙ্গের আয়োজিত ইলিশ উৎসবে এসে, আমার কৈশরের কথা মনে পড়লো । আমি যখন হাজীগঞ্জ থেকে অনুষ্ঠানে আসতাম, তখন থেকেই আমি হারুন আল রশিদের সহধর্মিণী তাহমিনা হারুনের সংগীতের পাগল ছিলাম। ঠিক সেভাবেই চাঁদপুরের এ দম্পত্তি আজও তাদের সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরে আছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রাকৃতিক মিঠা পানির মাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে কিন্তু ইলিশের উৎপাদন দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইলিশ চাঁদপুরবাসীর সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। তাই ইলিশ নিয়ে যতো কার্যক্রম চাঁদপুরবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এর দায়িত্ব নিতে হবে। ইলিশের এ উৎসবের মাধ্যমে চাঁদপুরের নাম আরো উজ্জল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাাকলে চাঁদপুর হবে বাংলাদেশের একটি মডেল জেলা।
আয়োজকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চতুরঙ্গ যখনই আমায় ডাকে, আমি লোভ সামলাতে পারি না। চতুরঙ্গের মাধ্যমে গুনিজনদের সম্মাননা দেওয়ার বিষয়টিকে আমি প্রশংসা করছি।
বিশিষ্ট সমবায়ী জসীম উদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে ও ইলিশ উৎসবের রুপকার, চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল-রশিদের সঞ্চালনায়, এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক অরুনেন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী, চাঁদপুর জেলা সম্পাদক পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. আব্দুর রহমান, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা) সভাপতি, বিখ্যাত গিটারিস্ট হাসানুর রহমান বাচ্চু, ড. উত্তম সাহা (সাগর), কণ্ঠশিল্পি মমতাজ রহমান লাবনী প্রমুখ।
সম্মাননা পর্বে প্রধান অতিথি থেকে চতুরঙ্গ পদক পেয়েছেন, গীটার গুরু হাসানুর রহমান বাচ্চু, ড. উত্তম সাহা (সাগর), বিশেষ সম্মননা পদক পেয়েছেন মমতাজ রহমান লাবনী।
এসময় ফুল ও ক্রেষ্ট দিয়ে তাদের বরণ করা হয়। সবশেষে অগ্নিবীনা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নৃত্যাঞ্জলী পারফমিং আর্টস একাডেমির আয়োজনে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে বিকেলে সাড়ে ৩টায় মেহেদী রঙ্গে ‘গ্রাম্যবধু’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বরিশাল ও নোয়াখালী আঞ্চলিক ভাষায় মনোমুগ্ধকর প্রীতি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্কের বিষয়বস্তু ছিলো “অনকার যুগেরত্তন আগেরকার যুগই ভালা আছিলো”।
এতে অংশ নেয় চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমি (নোয়াখালী) ও চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন, ফরিদগঞ্জ (বরিশাল)। সভাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন, চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুল আ রশিদ ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন মো. আবু সালেহ। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গীটার শিল্প পরিষদের মনোজ্ঞ সুরেলা সংগীত দর্শকদের মন মাতায়।