নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): জমি কমছে, বাড়ছে মানুষ। সে সাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। প্রতিকূলতায় দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থা আরো খারাপ। অতিবৃষ্টি, বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাসের সময় এসব আমরা সাংঘাতিকভাবে টের পাই। তবে এতে শঙ্কিত নই। কারণ, এগুলো আমরা মোকাবেলা করতে পারি। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর হোটেল গ্র্যান্ড পার্কে বাংলাদেশের কৃষক সংগঠনের জন্য আর্থিক সেবা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক দিনব্যাপি এক আঞ্চলিক প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব জনাব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষি বিজ্ঞানীরা লবণসহিষ্ণু এবং বন্যাসহিষ্ণু বেশ ক’টি জাত উদ্ভাবন করেছেন। যেগুলো এ অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট উপযোগি। চাষিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেতে দলভুক্ত কৃষকগ্রুপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা স্বল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমেও নিজেদেরকে অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা প্রধান আনোয়ার হোসেন, এফএও বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকার খামারবাড়িস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক (উপকরণ) কাজী মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষকসহ কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও অর্থলগ্নিকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১২০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।