বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

খুলনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড়

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজ মাঠে চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন। ৪ অক্টোবর হতে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলার প্রথম দিন বৃহস্পতিবারে (০৪ অক্টোবর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের উপচেপরা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মন্ত্রণালয়ের ৮টি প্রতিষ্ঠানের ১২টি স্টল মিলে একটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।

সমন্বিত কৃষিস্টলে স্থান পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর মধ্যে সর্জান পদ্ধতিতে খাটো জাতের নারিকেল বাগান, ভাসমান কৃষি, ছাঁদ বাগানের মডেল, মিনি পুকুর পদ্ধতি, টাওয়ার গার্ডেনে সবজি চাষ, কম্বাইন হারভেস্টারসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, ফসলের জাত ও রোগপোকা পরিচিতি, হাতের ছোঁয়ায় তথ্য সেবা (কিয়স্কো), ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার অন্যতম।

এছাড়া সন্ধ্যায় কৃষি উন্নয়নে বর্তমান সরকারের সাফল্যসহ অন্যান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি প্যাভিলিয়নের দৃশ্যমান প্রযুক্তিগুলো দেখে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। মেলায় আগত দর্শকেরা বলেন, শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির আধুনিক ছোঁয়া চাষির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। স্টলগুলো ঘুরে তারা আরও বলেন, মেলায় কৃষির অ্যাপসটি (কৃষকের জানালা) সত্যি অনেক ভাল। প্যাভিলিয়নের সমন্বয়কারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা পংকজ কান্তি মজুমদার বলেন, কোনো জীবন্ত কর্মকান্ড তুলে ধরার জন্য মেলাই হচ্ছে অন্যতম মাধ্যম। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আমরাও অংশ নিয়েছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। যে কারণে বাংলাদেশের কৃষি এখন অনেক উন্নত। আর এসব সফলতা স্ব-শরীরে দেখানো এবং দর্শনার্থীদের মাধ্যমে জনগণকে জানানো হচ্ছে আমাদের মূল উদ্দেশ্যে। যাতে তারা নতুন নতুন কৃষি সেবা নিতে আরো সক্ষম হয়।

This post has already been read 3075 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …