মো. জহিরুল ইসলাম (সোহেল): নিম গাছ চিনে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। নিম গাছের গুণের কথা আমরা সবাই জানি। কথায় আছে, বাসায় একটা নিম গাছ থাকা মানে একজন ডাক্তার থাকা। ছোট বেলায় দেখতাম, কারো বাড়ীতে নতুন শিশু জন্ম নিলে ঐ ঘরের দরজার সামনে নিমের ঢাল ঝুলিয়ে রাখতো। ঘরের বেড়ায় নিমের পাতা গুজে রাখতো। তখন বুঝতাম না। মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলতো, এগুলা রাখলে নাকি খারাপ জ্বীন-ভূত আসতে পারে না। এখন বুঝতে পারছি সেই জ্বীন-ভূত কি? সেগুলা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই। আসলে নিমের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এখন তো প্রসাধনীতেও নিমের ব্যবহার হচ্ছে প্রচুর। রুপ চর্চায় নিমের কিছু টিপস দেয়া হলো:
খুশকি সমস্যা: খুশকির জন্য কতো কি-ই না করলেন কিন্তু খুশকি দুর হচ্ছে না। পরিমাণ মতো পানি ও নিম পাতা নিয়ে সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না পানিটা নীল হচ্ছে। ঠাণ্ডা করে গোসলের সময় চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার পর নিমের পানি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করুন।
ব্রণ দূর করে: নিম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে ব্রণে লাগিয়ে দিন। যতদিন ব্রণ না শুকাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এভাবে লাগিয়ে যান।
ডার্ক স্পট: মুখের যেকোনো ধরনের ফুসকুড়ি, ডার্ক স্পট এবং দীর্ঘমেয়াদি ঘা দূর করে।
ত্বকের রোগ সাড়ায়: নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে যেকোনো ধরনের খুজলি, একজিমা, রিঙওয়ার্ম এবং প্রদাহজনিত স্থানে লাগান।
নিম তেল:নিমের বীজ থেকে নির্যাস বের করে বানানো হয় নিমের তেল। নিমের তেলের কিছু বিস্ময়কর যাদু:
কালো আঁচিল দূর করে:২-৩ ফোঁটা নিমের তেল পানিতে মিশিয়ে কালো আঁচিলে নিয়মিতভাবে লাগান দেখবেন আচিল চিরতরে দূর হয়ে গেছে।
ত্বকের যৌবন ধরে রাখে: ফেসপ্যাকের সঙ্গে নিমের তেল মিশিয়ে ত্বক লাগালে ত্বকের বলিরেখা দুর করে ত্বককে রাখে হয়ে উঠে সজীব ও সতেজ।
চুলের যত্নে নিম: প্রতিদিন অল্প পরিমাণ নিমের তেল নিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে হালকা করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া বন্ধ, খুশকি দুর এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়ে উঠবে।