নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য অধিকার মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। সকলের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে “খাদ্য অধিকার আইন” প্রণয়নের যৌক্তিকতা ও সুপারিশ তুলে ধরতে মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘যুব ছায়া সংসদ’ এর ৭ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার আদলে ৩০০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৫০ জন মোট ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এই যুব ছায়া সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড, ইয়ূথ এগেইনষ্ট হাঙ্গার, ড্যান চার্চ এইডসহ দেশের পঞ্চাশটিরও অধিক স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠন এই যুব ছায়া সংসদ আয়োজন করেছে।
আয়োজিত যুব ছায়া সংসদ অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এবং এএফও এর সিনিয়র ন্যাশনাল এডভাইজার অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক। আয়োজকদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন এবং ড্যান চার্চ এইডের রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর আব্দুর রহমান।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র চর্চ্চার কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়। আগামীদিনের বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চেহারা কেমন হবে তা নির্ভর করছে আজকের তরুণেরা কিভাবে গণতন্ত্র চর্চ্চা করছে তার উপর। সেই দিকটি বিবেচনায় রেখেই তরুন প্রজন্মের মধ্যে গণতান্ত্রিক ধ্যান ধারনার বিকাশ এবং সংসদীয় ধারায় সমস্যা সমাধানের রীতিকে প্রণোদিত করার লক্ষ্যে নিয়ে ‘যুব ছায়া সংসদ’ এর পথচলা শুরু হয়।
যুব ছায়া সংসদের বিকেলে অধিবেশনে ‘যুব ছায়া সংসদের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের আগামীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে যুব সমাজের উপরই। যুবরা যদি সঠিক পথে ও দিক নির্দেশনায় নেতৃত্বভার গ্রহণ না করে তবে উন্নয়নের ধারাবহিকতা ব্যহত হতে পারে। তাই যুবদের দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ‘যুব ছায়া সংসদ’ পরিচালিত হয়। ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ খ্যাত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও ‘যুব ছায়া সংসদ’ জাতীয় সংসদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়মিতভাবে পরিচালনার জন্য যুব প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয় ‘যুব ছায়া সংসদ’ সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। দেশের সকল মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্যের অধিকার অর্জনে আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। আমরা অবিলম্বে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবী জানাই।
‘যুব ছায়া সংসদ’ একটি সৃজনশীল জাগরণী মঞ্চ। দেশের ৫ কোটি যুব সমাজের পক্ষ থেকে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবীতে অনুষ্ঠিত যুব ছায়া সংসদ অধিবেশন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ পরবর্তিতে দেশের আইন প্রণেতা ও নীতি নির্ধারকদের কাছে উপস্থাপন করা হবে।