সাব্বির বিন আশ্রাফ (বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি): সম্প্রতি চিটাগাং হর্টিকালচার সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবনী প্রযুক্তির আবিষ্কার করেছেন। যেটা জৈবসার গোবর কে বিভিন্ন মাধ্যমে কালচার মাধ্যমে সূত্রবদ্ধ (ফরমুলেটিং) করে গোবরের শক্তিমাত্রা কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর মাধ্যমে করা হয়েছে।
“ইনোভেটিভ কথা” অনলাইন চ্যানেলের টকশো তে কম খরচে ছাদ বাগানসহ ও অন্যান্য কৃষিকাজের প্রসারতায় চট্টগ্রামের হর্টিকালচার সেন্টারের কৃষি অফিসার মামুন আলী সিকদাররের বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে জনপ্রিয় কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান মাটি ও মানুষের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক স্যারের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ আল মামুন সিকদার বলেন যে, এই প্রযুক্তিতে গোবরের মধ্য থাকে অসংখ্য মাইক্রো অরগানিজম যা বিভিন্ন মাধ্যমে ফরমুলেটিং করে গোবরের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে শক্তিবৃদ্ধিকারী জৈব তরল গোবর সারকে ডিপ ইরিগেশন তথা জলাবদ্ধ সেচের মাধ্যমে ছাদবাগানের টব, আর মাঠফসলের জমিতে ব্যবহার করতে পারবো। ফলে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে গোবরে থাকা প্রধান রাসায়নিক উপাদান নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম যতটা মাটির সাথে বিক্রিয়া করে নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি কাজ করবে এবং সময়ও কম লাগবে।
তিনি বলেন, যদি উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রসারণ করে তাহলে কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা ও বাগানীদের অতিরিক্ত পরিমাণে জৈবসার ব্যবহার করতে হবেনা, এক্ষেত্রে একর প্রতি মাত্র ১০-২০ কেজি গোবর সার দিলেই হবে আর উচ্চমূল্যের রাসায়নিক স্যার যেমন উইরিয়া, টিএসপি, এমওপি প্রভৃতি ব্যবহার করে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হবেনা।
যেহেতু তিনি প্রাথমিকভাবে ছাদবাগানে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন তাই উদ্ভাবনীর বিষয়বস্তুর “জিরো বাজেট গার্ডেনিং” দিয়েছেন। আর উদ্ভিদের জন্য মাটির পুষ্টিগুনের সরবরাহ দেওয়া এই উদ্ভাবনীর একটি অংশ এবং অপর অংশ গবেষণাধীন যেটা হচ্ছে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে যুগান্তকারী জৈব বালাইনাশক। তাই, সমগ্র উদ্ভাবনী প্রযুক্তির শিরোনাম “জিরো বাজেট গার্ডেনিং”।
কৃষিবিদ আল মামুন শিকদারের এই উদ্ভাবনী নিয়ে সাক্ষাৎকার এর সময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মীর নুরুল আলম, পরিচালক, পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং।
তিনি এই উদ্ভাবনীকে সম্প্রসারণের ব্যাপারে একটি মৌখিক প্রস্তাব প্রদান করেন।